লোকসভা ভোট ঘোষণার আগেই রাজ্যে পৌঁছে যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। কলকাতা সহ জেলার একাধিক স্কুল অধিগ্রহণের নোটিস দিতে শুরু করে পুলিশ। এর ফলে পড়ুয়াদের পঠনপাঠন ব্যাহত হচ্ছিল বলেও অভিযোগ তোলে পর্ষদ।
গরম কমার কোনও লক্ষ্মণ নেই। চিটচিটে ঘামে সারাদিন জেরবার মানুষ। মাঝে বেশ কিছুদিন টানা বৃষ্টির জেরে তাপমাত্রা কমেছিল। দক্ষিণবঙ্গে তীব্র তাপপ্রবাহের জেরে গত ২২ এপ্রিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে আগাম গরমের ছুটি ঘোষণা করেছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। মাঝে গরম কমলেও ভোটের কারণে স্কুল খোলা যায়নি। ভোটের পালা মিটতে ১০ জুন থেকে ফের শুরু হয়েছে পঠন-পাঠন।
এদিকে, বেশ কিছু স্কুল এখনও বন্ধ। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে বঙ্গে ৪২ খানা আসনের মধ্যে ২৯টিই পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বজায় রয়েছে শাসকদলের দাপট। এই আবহে লাগাতার হিংসার ঘটনার খবর সামনে আসছে। তাই সেই পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্যে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কিন্তু সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর থাকা নিয়ে। এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে পর্যন্ত মামলা হয়েছে।
এবার এই নিয়ে সাফ নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার এই মামলার শুনানিতে আদালতের নির্দেশ কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বিকল্প কোনও জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারকে এই নিয়ে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
লোকসভা ভোট ঘোষণার আগেই রাজ্যে পৌঁছে যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। কলকাতা সহ জেলার একাধিক স্কুল অধিগ্রহণের নোটিস দিতে শুরু করে পুলিশ। এর ফলে পড়ুয়াদের পঠনপাঠন ব্যাহত হচ্ছিল বলেও অভিযোগ তোলে পর্ষদ। কেন্দ্রীয় বাহিনী কেন কেন্দ্রীয় স্কুলে থাকবে না এই নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। এই অবস্থায় ভোট শেষে হওয়ার পরেও দেখা যাচ্ছে বহু স্কুলে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকায় পঠন-পাঠন শুরু করা যাচ্ছে না। এই নিয়েই মামলা হয় হাইকোর্টে। তবে এদিন আদালতের নির্দেশের পর কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বিকল্প কোনও জায়গায় সরিয়ে নিয়ে গেলে আর কোনো সমস্যা থাকবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
শিক্ষা দফতরের নির্দেশ ছিল, ৩ জুন স্কুল খুলে গেলে শিক্ষক ও অশিক্ষককর্মীরা স্কুলে গিয়ে সমস্ত কিছু গুছিয়ে রাখবে। এরপর ১০ তারিখ থেকে স্কুল যাওয়া শুরু করবে পড়ুয়ারা। কিন্তু এখনও কিছু কিছু স্কুলের বেহাল দশা। ভোট মিটে গেলেও উপদ্রুত এলাকার স্কুলগুলিতে এখনও কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে। আগেই জাতীয় নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে রাজ্যে আগামী ২১ জুন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। শুক্রবার বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা শুনানির জন্য ওঠে। মামলায় কড়া নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।