ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ ঘিরে রাজ্যজুড়ে বিভ্রান্তি ও অসন্তোষের অভিযোগ উঠল। ইলেক্টোরাল রোল অফিসার (ইআরও) ও অ্যাসিস্ট্যান্ট ইলেক্টোরাল রোল অফিসারদের (এইআরও) ভিন্ন ভিন্ন সিদ্ধান্তে বৈষম্য তৈরি হচ্ছে বলে অভিযোগ করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
25
ভোটকর্মী-বিএলও ঐক্য মঞ্চের তরফে চিঠি
ভোটকর্মী ও বিএলও ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল রাজ্যের সিইও মনোজ কুমার আগরওয়ালের কাছে পাঠানো চিঠিতে জানান, ভার্চুয়াল ও সরাসরি বৈঠকে আগেই বলা হয়েছিল ২০০২ সালের এসআইআর-এর হার্ড কপিতে যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের শুনানির জন্য ডাকা হবে না। তারপরও বিশৃঙ্খলা এবং অশান্তি ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
35
কী অভিযোগ উঠেছে?
সূত্রের খবর, ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজের ক্ষেত্রে কিন্তু বাস্তবে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে খবর মিলছে, সেইসব ভোটারদেরও শুনানির নোটিস পাঠানো হচ্ছে এবং মৌখিক নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। আর এই অভিযোগ তুলে এবার রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী দফতরে ই-মেইল মারফত চিঠি দিলো ভোটকর্মী-বিএলও ঐক্য মঞ্চ।
চিঠিতে আরও অভিযোগ, কিছু ইআরও আবার ওই ভোটারদের শুনানিতে না ডাকার নির্দেশ দিচ্ছেন। ফলে একাধিক জায়গায় পরস্পরবিরোধী সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, যা সাধারণ ভোটারদের মধ্যে অস্বস্তি ও উত্তেজনা তৈরি করছে।
55
বুথ লেভেল অফিসারদের অতিরিক্ত চাপ
পাশাপাশি, গোটা চাপ এসে পড়ছে বুথ লেভেল অফিসারদের (বিএলও) ওপর। এই পরিস্থিতিতে কেন এমন বৈষম্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, তা স্পষ্ট করার পাশাপাশি অবিলম্বে একরূপ নির্দেশিকা জারি করে বিষয়টি মেটানোর জন্য সিইও-র হস্তক্ষেপ দাবি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।