পুলিশ জানিয়েছিল তাঁর ব্যবহার করা ভারতীয় ফোন নম্বরের লাস্ট লোকেশন মুজাফফরাবাদ অর্থাৎ উত্তরপ্রদেশ। সেখান থেকে কবে তিনি নিউটাউনে এলেন, কেন এলেন, তা নিয়ে গভীর রহস্য তৈরি হয়েছে।
ভারতে চিকিৎসা করাতে এসে আচমকা হারিয়ে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার। তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। ১৪ মে থেকে কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না তাঁর। ৮ দিনের মাথায় নিউটাউনের একটি বিলাসবহুল আবাসন থেকে উদ্ধার হল বাংলাদেশের শাসক দল আওয়ামি লিগের সাংসদের নিথর দেহ।
পুলিশ জানিয়েছিল তাঁর ব্যবহার করা ভারতীয় ফোন নম্বরের লাস্ট লোকেশন মুজাফফরাবাদ অর্থাৎ উত্তরপ্রদেশ। সেখান থেকে কবে তিনি নিউটাউনে এলেন, কেন এলেন, তা নিয়ে গভীর রহস্য তৈরি হয়েছে। কে বা কারা তাঁকে হত্যা করেছে, ইতিমধ্যেই তা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে পুলিশ। এদিকে আনোয়ারুলের মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই দুই দেশের কূটনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
তদন্ত করার সময় ঢাকা পুলিশ প্রধান জানিয়ে ছিলেন, আনোয়ারুল আজিমের একটি বাংলাদেশি ও আরেকটি ভারতীয় মোবাইল নম্বর ছিল। ১৬ মে সকাল ৭টার দিকে তাঁর নম্বর থেকে দুটি ফোন আসে। একটি আসে তাঁর এপিএসের নম্বরে, আরেকটি ফোন আসে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুর নম্বরে। কিন্তু তখন দু'জনের কেউই ফোন ধরতে পারেননি। এদিকে আনোয়ারুলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁর পরিবার।
ডিবি প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, ঝিনাইদহ-৪ আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার ১২ মে দর্শনা-গেদে সীমান্ত দিয়ে কলকাতা যান। বরানগরে তাঁর পরিচিত গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে ওঠেন। পরদিন ১৩ মে সকালে ব্রেকফাস্ট করে ওই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। তারপর আর গোপালের বাড়ি ফেরেননি।
আরও একটি তথ্য বলছে, কলকাতা আসার পর একটি বিলাসবহুল আবাসনে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিলেন আনোয়ারুল। সেখানে একজন মহিলা সঙ্গী সহ সাংসদের সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন ছিলেন। তবে কে বা কারা তাঁকে হত্যা করল তা এখনও পরিষ্কার নয়। বিধাননগর গোয়েন্দা শাখার পুলিশ, নিউ টাউন থানার পুলিশ এবং এইচডিএফ আধিকারিকরা ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।