Behala incident: বেহালার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের, কলকাতা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন খোদ মুখ্যসচিব

শুক্রবার পথ দুর্ঘটনার ঘটনায় বিস্তারিত খোঁজখবরও নেন তিনি। আপাতত রাজ্য প্রশাসনের তরফে কলকাতা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন মুখ্যসচিবই।

Web Desk - ANB | Published : Aug 4, 2023 10:13 AM IST

বেহালার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন সূত্রে খবর কলকাতা পুলিশের সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ কর্মসূচির মধ্যে কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল, মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে ফোন করে তা জানতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই শুক্রবার সকালে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে ফোন করেন মুখ্যসচিব। শুক্রবার পথ দুর্ঘটনার ঘটনায় বিস্তারিত খোঁজখবরও নেন তিনি। আপাতত রাজ্য প্রশাসনের তরফে কলকাতা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন মুখ্যসচিবই।

শুক্রবার সকালে সাড়ে ছ’টা নাগাদ বেহালার চৌরাস্তা এলাকায় বড়িশা স্কুলের সামনে একটি মাটি বোঝাই করা লরি বেপরোয়াভাবে ছুটে এসে ধাক্কা মেরে দেয় ওই ৫ বছরের ছোট্ট শিশু এবং তার বাবাকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ছেলেটির। তড়িঘড়ি তার বাবাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও তাঁকে বাঁচানো যায়নি। এরপর বাবা ও ছেলে, দুজনেরই মৃত্যুর খবর আসার পরে ভয়ঙ্কর চেহারা নেয় বেহালা এলাকা। বিক্ষোভে ফেটে পড়ে রাস্তায় নেমে পড়েন স্থানীয় মানুষজন। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ বেঁধে যায়।

বড়িশা স্কুলের সামনে ধুন্ধুমার একের পর এক পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় উন্মত্ত জনতা। জানা গেছে, শুধুমাত্র বাবা ও সন্তানের মৃত্যুর কারণেই এই ক্ষোভ নয়। এই দুর্ঘটনার জন্য কার্যত পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা এবং সর্বোপরি কাণ্ডজ্ঞানহীনতাকেই দায়ী করছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, বেপরোয়া গতিতে শিশু আর বাবাকে খুন করা লরিচালককে অনেক আগেই পাকড়াও করে নিয়েছিলেন ঘটনাস্থলে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা। কিন্তু, তাঁরা সেই লরি চালককে ছেড়ে তো দিয়েছেনই, তার সাথে সাথে তাঁরা ওই ঘাতক লরিচালকের কাছ থেকে ঘুষও নিয়েছেন বলে অভিযোগ।

স্কুলের সামনে পড়ুয়াদের সুরক্ষার প্রচণ্ড অভাব, এরই প্রতিবাদে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে বেহালার চৌরাস্তা অঞ্চল। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ওই রাস্তায় গাড়িচালকরা একেবারেই ট্রাফিকের নিয়ম মানেন না, পুলিশ কোনও দিকে নজরই দেয় না। উপরন্তু, গাড়ির চালকদের কাছ থেকে মোটা টাকা ঘুষ নিয়ে অপরাধীদের ছেড়ে দেয় পুলিশ। এই নিষ্ক্রিয়তা দিন দিন বেড়ে চলেছে বলেই ছোট ছোট শিশুদের প্রাণের কোনও দাম নেই বলে অভিযোগ পড়ুয়াদের অভিভাবকদের। শুক্রবার সকাল থেকে এই বিক্ষোভের জেরে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে ডায়মন্ড হারবার রোড। প্রচুর যানবাহন আটকে পড়েছে ওই এলাকায়।

Share this article
click me!