ডিএ বিতর্কের মাঝে বিরাট ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী, কর্মীদের থেকে চাইলেন বিশেষ রিপোর্ট, জানুয়ারিতেই বড় সিদ্ধান্ত
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিভিন্ন দফতরে শূন্যপদ সংক্রান্ত রিপোর্ট চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই খবরের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে নিয়োগের জল্পনা শুরু হয়েছে। অনেকে মনে করছেন ২০২৬ সালের নির্বাচনের আগে নতুন কর্মী নিয়োগ করতে পারে রাজ্য সরকার।
সরকারি হোক বা বেসররকারি- চাকরির মন্দার বাজারের কথা সকলের জানা। ঝুলি ভর্তি ডিগ্রি থাকলেও মিলছে না চাকরি। বাড়ছে বেকারত্বের সংখ্যা।
এই আবহে বড় খবর দিল মমতা সরকার। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অধীনস্থ সকল দফতরের কাছে বিশেষ রিপোর্ট চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী।
কোন দফতরে কত শূন্যপদ আছে তা জানতে চাওয়া হয়। এবার সেই সকল পদে বিপুল নিয়োগ হবে বলে মনে করছেন সকলে।
প্রকাশ্যে আসা রিপোর্ট বলছে, বিশেষ করে সচিবালয়গুলোতে আপার ডিভিশন অ্যাসিস্ট্যান্ট, লোয়ার ডিভিশন অ্যাসিস্ট্যান্ট, হেড অ্যাসিস্ট্যান্ট ও সেকশন অফিসার পদে মোট অনুমোদিত পদ এবং সেখানে কতজন কর্মী কর্মরত রয়েছে সেই তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে।
এই পরিসংখ্যান জমা দেওয়ার সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ৩১ তারিখের মধ্যে সেই রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
এই তথ্য চাওয়ায় শুরু হয়েছে জল্পনা। আচমকা কেন মুখ্যমন্ত্রী এই রিপোর্ট চাইলেন তা জানতে আগ্রহী সকলে।
অধিকাংশ মনে করছেন, ২০২৬ সালে নির্বাচন। তার আগে হয়তো মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য প্রশাসনে নতুন কর্মী নিয়োগ করবেন।
তেমনই অনেকের মত এই শূন্যপদ নিয়ে হবে রাজনীতি। আবার কারও মতে অন্য কোনও পরিকল্পনা আছে।
এদিকে এখনও রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ ঘোষণা করা হয়নি। যা নিয়ে উত্তেজনা দেখা যাচ্ছে কর্মীদের মধ্যে।
একই মাঝে এমন রিপোর্ট চাওয়ার কারণ নিয়ে বাঁধছে ধোঁয়াশা।