
Dilip Ghosh News: সংঘর্ষ বিরতি চুক্তির পরও লজ্জা নেই পাকিস্তানের (Pakistan)। নির্লজ্জের মত ফের সীমান্তে হামলা চালাচ্ছে পাক সেনাবাহিনী। যদিও আমেরিকার চাপে পড়ে যুদ্ধ বিরতিতে রাজি হলেও পাকিস্তানের এখনও সবক শেখা বাকি বলে মন্তব্য করলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।
ঠিক কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh on Pakistan issue):-
সোমবার নিউ টাউনের ইকো পার্কে প্রাতঃ ভ্রমণে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ''পাকিস্তান চুক্তি ভঙ্গ করবে এটা নতুন কিছু নয়। সিমলা থেকে সব চুক্তিই লঙ্ঘন করেছে। ওদের বিশ্বাস করা ঠিক নয়। ভারত যোগ্যতার সঙ্গে তার জবাব দিয়েছে। তুরস্কের ড্রোন ব্যবহার করে ইউক্রেন রাশিয়াকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল, ওই একই ড্রোন আমাদের সেনা মাঝপথে ধ্বংস করে নামিয়ে দিয়েছে। আমরা কি করতে পারি আমরা দেখিয়ে দিয়েছি। যুদ্ধ হবে কি হবে না সেটা নিয়ে দু-রকমের মতামত আছে। পরবর্তী কি পদক্ষেপ হবে সেটা মাথায় রেখেছেন এই বিষয়ের ভারপ্রাপ্ত বিশেষজ্ঞরা। তার ওপর ভিত্তি করেই কথা হবে।''
তিনি আরও বলেন, ''দেশে একটা উন্মাদনা তৈরি হয়েছিল। পাকিস্তানকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য দেশ তৈরি ছিল। মাঝপথে যুদ্ধ বন্ধ হয়েছে। সরকার এটা নিয়ে পরে নিশ্চই কিছু বলবে। জনতা এখনও চায় বাঁশ থাকবে না বাঁশিও বাজবে না। এরকম পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। আজাদ কাশ্মীর আজ না হয় কাল আমাদের দখলে আসবেই। বড় বড় দেশ চাইবে না যুদ্ধ হোক। কারণ তাহলে আর্থিক মন্দা তৈরি হয়। বাজার নষ্ট হয়। বিভিন্ন দেশের যুদ্ধে ইউরোপ আমেরিকা আর্থিক ভাবে ধাক্কা খেয়েছে। ভারতের মতো বড় এবং দায়িত্বশীল দেশ অনেক কিছু বিবেচনা করে এগোচ্ছে। তাই আজকের বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ।''
শুধু তাই নয় কংগ্রেস হঠাৎ করেই ইন্দিরার জয়গানে মুখর হওয়া নিয়েও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ''ইন্দিরা গান্ধীর আগে এবং পরে কংগ্রেস অনেকগুলো যুদ্ধ করেছে। তার ফল তো দেখাই যাচ্ছে। আজাদ কাশ্মীর হল কিভাবে? সেই সময় নিয়ে নেননি কেন? সেইসময় তো চাহিদা ছিল পূর্ব বঙ্গের খুলনা যশোর জেলা আমাদের নিয়ে নেওয়ার কথা ছিল। কেন নেননি? তাহলে তো বাংলাদেশ ইস্যুর সমাধান হয়ে যেত। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নেতা যুদ্ধ নিয়ে তাদের মতো করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আজকের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আলাদা। অটল বিহারী বাজপেয়ী বা নরেন্দ্র মোদী যা করেছেন সেটা আগে কোনোদিনই কংগ্রেস করতে পারেনি।''
প্রসঙ্গত, ভারত-পাক যুদ্ধের আবহে সামরিক উত্তেজনার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতি সম্পর্কে মন্তব্য করে ট্রাম্প উভয় দেশের নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন। ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, “আমি ভারত ও পাকিস্তানের শক্তিশালী এবং অটলভাবে শক্তিশালী নেতৃত্বের জন্য খুব গর্বিত... লক্ষ লক্ষ ভালো এবং নিরপরাধ মানুষ মারা যেতে পারত!” পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ মার্কিন রাষ্ট্রপতির মধ্যস্থতার প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং ট্রাম্পকে হস্তক্ষেপের জন্য তার আগ্রহের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
ভারত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাশ্মীর ইস্যুতে মধ্যস্থতার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে, স্পষ্ট করে দিয়েছে যে আলোচনার টেবিলে একমাত্র বিষয় হল পাকিস্তানের অবৈধভাবে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে দখলকৃত অঞ্চল ফিরে পাওয়া।
তবে সরকারি সূত্রগুলি স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে ভারত এই বিষয়ে বহিরাগত হস্তক্ষেপের কোনও ভূমিকা দেখছে না। "কাশ্মীরের বিষয়ে আমাদের একটি খুব স্পষ্ট অবস্থান রয়েছে, কেবল একটি বিষয় বাকি আছে - পাক-অধিকৃত কাশ্মীর (পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে) ফিরে আসা। আর কোনও কথা বলার নেই। যদি তারা সন্ত্রাসীদের হস্তান্তরের কথা বলে, আমরা কথা বলতে পারি। আমরা চাই না কেউ মধ্যস্থতা করুক। আমাদের কারও মধ্যস্থতার প্রয়োজন নেই।" ভারতের অবস্থান হল যে সমগ্র জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ।