
Suvendu on Mamata: মুর্শিদাবাদ অশান্তিকে ঘিরে ফের উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যকে ঘিরে পাল্টা আক্রমণে নামলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মৃতদের ক্ষতিপূরণ, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা থেকে শুরু করে এনআইএ তদন্তের দাবি—একাধিক ইস্যুতে একহাত নিলেন রাজ্য সরকারকে।
ওয়াকফ সংশোধনী আইন ঘিরে মুর্শিদাবাদে একাধিক অশান্তির ঘটনা। ওয়াকফ অশান্তিতে রাজ্যে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর। যাঁদের বাড়ি ভেঙে গিয়ে তাঁদের বাংলার বাড়ি দেওয়া হবে, বলেও জানিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার পাল্টা মমতাকে আক্রমণ শানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যখন মুর্শিদাবাদে তাণ্ডব চলে তখন ৪ ঘণ্টা ওনার পুলিশ কোথায় ছিল? প্রশ্ন তুললেন শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দুর অভিযোগ, এই অশান্তি পরিকল্পিত। উদ্দেশ্য—মুসলিম ভোটে প্রভাব ফেলা। তাঁর বক্তব্য, “গত বিধানসভায় মুসলিমদের বড় অংশ কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছিল। তাই এবার সাম্প্রদায়িকতা উসকে এই কাজ করানো হয়েছে।” শুধু তাই নয়, বিএসএফের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তানিয়েও মমতাকে আক্রমণ শানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। বলেন, “বিএসএফের পা ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, কারণ পুলিশ লুকিয়ে ছিল।”
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ইউনূসের গোপন বৈঠকের অভিযোগও তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী, যা ঘিরে নতুন করে জলঘোলা হচ্ছে রাজনৈতিক মহলে। অশান্তির রাজনীতি ঘিরে একদিকে যখন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়ছে বিরোধীরা, তখন পাল্টা অভিযোগ এনে রাজ্য সরকার বলছে, পুরো বিষয়টিই পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র।
অন্যদিকে, পুলিশ অনুমতি না দেওয়ায় ধুলিয়ানে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিচারপতির তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে মামলা দায়ের। ওয়াকফ অশান্তিতে উত্তাল মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান, সুতি, সামশেরগঞ্জ সহ বিভিন্ন এলাকা। এই পরিস্থিতিতে ধুলিয়ান যাওয়ার অনুমতিতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ তাঁকে ধুলিয়ান যাওয়ার অনুমতি দিচ্ছে না। মামলা দায়ের অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। বুধবার আদালতে তাঁর আইনজীবী জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে অন্য দলের নেতা-নেত্রীদে সেখানে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। বিধানসভার বিরোধী দলনেতাও ধুলিয়ান যেতে চেয়ে পুলিশের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ অনুমতি দেয়নি। তাই তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। এর আগে পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় মোথাবাড়িতে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। শর্তসাপেক্ষে তাঁকে সেখানে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।