Salary Hike: পুজোর মুখেই বেতন বৃদ্ধির নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশে খুশির হাওয়া রাজ্যের এই সরকারি কর্মীদের মুখে। দীর্ঘ দিন ধরেই মামলা চলছিল।
পুজোর মুখেই রাজ্যের সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর দিন কলকাতা হাইকোর্টের একটি নির্দেশ। সম্প্রতি একটি মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, ২০১০ সালের ১ এপ্রিলের পর নিয়ুক্ত সকল চুক্তিভিত্তিক সরকরি কর্মীদের বেতন নতুন বেতনক্রম অনুযায়ী বৃদ্ধি করতে হবে।
26
আদালতের নির্দেশ
কলকাতা হাইকোর্টের এই নির্দেশের কারণে এবার পুজোর আগেই স্বস্তিতে রাজ্য সরকারের সকল চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা। এই তালিকায় রয়েছে শিক্ষবন্ধু, প্যারা টিচার, চুক্তিভিত্তিক সরকারি কর্মীরা। কলকাতা হাইকোর্টের এই নির্দেশের ফুলে পুজোর আগেই স্বস্তিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা।
36
হাইকোর্টের রায়
মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুজয় পাল ও বিচারপতি স্মিতা দাস দে-র ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে. আদালত জানিয়েছে, চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ হলেও সরকারি কর্মীদের মধ্যে বেতন বৈষম্য করা য়াবে না। এর আগে একক বেঞ্চও এই একই নির্দেশ দিয়েছিল। একক বেঞ্চের নির্দেশই বহাল রেখেছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। যদিও রাজ্য সরকার কলকাতা হাইকোর্টের একক বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের আবেদন খারিজ করে দেয়।
২০১১ সালে রাজ্য সরকার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছিল, যেসব চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা চাকরিতে ১০ বছর পূর্ণ করবেন, তাদের বেতন বৃদ্ধি করা হবে। তবে সেই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলাছিল ২০১০ সালের ১ এপ্রিলের পর নিযুক্তরা এই সুবিধার আওতায় আসবেন না। এরপর ২০১৬ ও ২০১৯ সালে রাজ্য সরকার আরও দুটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। সেখানে বলেছিল ৫, ১০,১৫ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতার ভিত্তিকে কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি করা হবে।
56
চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের আন্দোলন
কিন্তু ২০১০ সালের পর চাকরিতে যোগ দেওয়া কর্মীরা এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন। তাঁরা দাবি করেন যে, তাঁরাও ৫-১০ বছর চাকরি করেছেন, তাই নতুন নিয়ম অনুযায়ী তাঁদেরও বেতন বাড়ানো হোক। এই দাবি নিয়েই তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হন। তারা আন্দোলনও শুরু করেছিলেন।
66
আদালতের পর্যবেক্ষণ
কলকাতা হাইকোর্ট পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, রাজ্য সরকারের ২০১১ সালের শর্ত এক্ষেত্রে কার্যকারী হবে না। দীর্ঘ শুনানির পর ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের আবেদন খারিজ করে দেয়। সমস্ত চুক্তিভিত্তিক কর্মীকে নতুন বেতনক্রমের আওতায় আনার নির্দেশ দেয়।