কপাল পুড়ল 'চিহ্নিত অযোগ্য'দের, SSCর নতুন বিজ্ঞপ্তি নিয়ে বড় রায় কলকাতা হাইকোর্টের

কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টে নির্দেশ মেনেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। একই সঙ্গে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে, ৩০ মে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল এসএসসি সেটিকে সামনে রেখেই নিয়োগ প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে হবে।  

এসএসসি বিজ্ঞপ্তি নিয়ে বড় রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সম্প্রতি জারি করা হয়েছিল এসএসসি বিজ্ঞপ্তি। তাই নিয়েও মামলা হয়েছিল।

চিহ্নিত অযোগ্যরা এবার আর এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারবেন না। তেমনই রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।

কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। তিনি চিহ্নিত অযোগ্যদের নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে বাদ দিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন।

কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টে নির্দেশ মেনেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। একই সঙ্গে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে, ৩০ মে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল এসএসসি সেটিকে সামনে রেখেই নিয়োগ প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে হবে। বিজ্ঞপ্তির বাকি অংশ নিয়ে আদালত কোনও হস্তক্ষেপ করেনি।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে। তারপরই নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে শিক্ষা দফতর। সেই বিজ্ঞপ্তি নিয়েই মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে।

মামলাকারীদের দাবি ছিল প্রায় ৪৪ হাজার শূন্যপদের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। তা আইনসম্মত নয়। মামলাকারীরা জানিয়েছিলেন, শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মেনে ২০১৬ সালের সিলেকশন প্রক্রিয়া ওই সালের রুল অনুযায়ী করতে হবে। ২০১৬ সালের চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে থেকেই তা করতে হবে। কিন্তু তা মানা হয়নি।

মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল ২০১৬ সালের নিয়োগের প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি হয়েছে। সেই মামালা সামনে রেখেই নতুন করে নিয়োগের কথা বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। ফলে নতুন করে বাছাইপ্রক্রিয়া হলে তা ২০১৬ সালের নিয়োগবিধি মেনেই তা হওয়া প্রয়োজন।

সোমবার হাইকোর্টে নিজদের অবস্থা জানায় রাজ্য ও এসএসসি। রাজ্যের দাবি কোথাও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কোথাও বলা নেই যে চিহ্নিত অযোগ্যদের নিয়োগপ্রক্রিয়ায় অংশ নিতে দেওয়া যাবে না।

যদিও রাজ্যের এই দাবিতে সন্তুষ্ট নয় কলকাতা হাইকোর্ট। আর সেই কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে বাতিল করা হয়েছে চিহ্নিত অযোগ্যদের।

৩০ মে শিক্ষা দফতর যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল সেই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নিয়োগ প্রক্রিয়া করা হবে বলেও জানিছে কলকাতা হাইকোর্ট।