আগামী ৩১ জুলাই ওয়েট ল্যান্ড অথরিটিকে রিপোর্ট কাজ কতটা এগোল তার রিপোর্ট নিয়ে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গেই কোথায় কোথায় অবৈধ নির্মাণে কারেন্ট দেওয়া হয়েছে তা খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে CESC ও WBSEDCL-কে।
পূর্ব কলকাতা জলাভূমি বুজিয়ে দিয়ে সেখানে বাড়ি, বহুতল থেকে শুরু করে কারখানা, রিসর্ট তৈরির অভিযোগ উঠেছে। একাধিক অবৈধ নির্মাণ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশেষত গার্ডেনরিচ কাণ্ডের পর থেকে আরও কড়া মনোভাব দেখা যাচ্ছে আদালতের। বেআইনি নির্মাণ নিয়েই অনেকদিন ধরেই কড়াকড়ি করছে কলকাতা হাই কোর্ট। এবার এক বেআইনি নির্মাণ নিয়ে তীব্র ভর্ৎসনা করলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
আগামী ৩১ জুলাই ওয়েট ল্যান্ড অথরিটিকে রিপোর্ট কাজ কতটা এগোল তার রিপোর্ট নিয়ে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গেই কোথায় কোথায় অবৈধ নির্মাণে কারেন্ট দেওয়া হয়েছে তা খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে CESC ও WBSEDCL-কে। সেই সব জায়গাকে ফের আগের অবস্থায় ফেরানোর নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি বলেন, ‘আপনারা ৫০০-টিরও বেশি অবৈধ নির্মাণ চিহ্নিত করেছেন। অন্তত পাঁচটা নির্মাণ ভাঙার প্রমাণ দিন’।
মামলাকারীর অবশ্য বক্তব্য, আদালতের তরফ থেকে প্রথম যে নির্মাণ ভাঙার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, আজ অবধি সেটায় কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। জাস্টিস সিনহা মুখের ওপর বলেন, আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি, ডিএম উদাসীন আচরণ করছেন। রাজ্যের তরফ থেকে পাল্টা দাবি করা হয়, কাজ চলছে। গত কয়েক মাসে কাজের অনেকটাই অগ্রগতি হয়েছে।
রাজ্যের আইনজীবী বলেন, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে দেওয়া হলফনামা অনুসারে, তিনতলা বাড়ি সহ একাধিক নির্মাণ ভাঙা হয়েছে। ৫২টি ক্ষেত্রে ভাঙার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেখানে ৫০০-টিরও বেশি অবৈধ নির্মাণ আছে। জেলা প্রশাসন এবং পুরসভা কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
একথা শোনার পর জাস্টিস সিনহা বলেন, জেলাশাসক এগিয়ে না এলে বেআইনি নির্মাণ ভাঙা সম্ভব হবে না। ক্ষোভ-বিক্ষোভ হবে। তবে যদি চেষ্টা না করা হয় তাহলে কাজও হবে না।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।