দুর্গাপুজোর অনুদান নিয়ে রাজ্যকে স্পষ্ট করে জানাতে আগের শুনানিতে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই অনুযায়ী এদিন রাজ্য সরকার স্পষ্ট করে জানিয়েছিল রাজ্য সরকার ৪১ হাজার ৭৯৫টি ক্লাবকে দুর্গাপুজোর অনুদান দেয়।
কলকাতা হাইকোর্টে দুর্গাপুজোর অনুদান মামলার শুনানি। বিচারপতি সুজয় পাল ও স্মিতা দাস দে-র ডিভিশন বেঞ্চে উঠেছিল এই মামলা। সেই মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্ট স্পষ্ট করে দিয়েছে কোন কোন ক্লাব দুর্গাপুজোর অনুদান পাবে? আর কোন কোন ক্লাব পুজোর অনুদান পাবে না।
25
অনুদান নিয়ে রাজ্যের বক্তব্য
দুর্গাপুজোর অনুদান নিয়ে রাজ্যকে স্পষ্ট করে জানাতে আগের শুনানিতে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই অনুযায়ী এদিন রাজ্য সরকার স্পষ্ট করে জানিয়েছিল রাজ্য সরকার ৪১ হাজার ৭৯৫টি ক্লাবকে দুর্গাপুজোর অনুদান দেয়। কিন্তু তারমধ্যে মাত্র তিনটি ক্লাব অনুদানের খরচের হিসেব অর্থাৎ ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট দেয়নি। তিনটি ক্লাবই শিলিগুড়ির।
35
আদালতের পর্যবেক্ষণ
রাজ্যের দেওয়া তথ্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি সুজয় পাল মন্তব্য করেন, সংখ্যাটা এত কম যে মাইক্রোস্কোপ লাগবে। কলকাতা হাইকোর্ট অনুদান সংক্রান্ত মামলায় আগেই জানিয়ে দিয়েছিল পুজোর এক মাসের মধ্যেই সংশ্লিষ্ট ক্লাবগুলিকে ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট দিতে হবে।
এদিন মামলার শুনানিতে আদালত স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে কোন কোন ক্লাব দুর্গাপুজোর অনুদান পাবে। আর কারা কারা পাবে না। কলকাতা হাইকোর্ট বলেছে যে সমস্ত ক্লাব আদালতের নির্দেশ মেনে ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট দেবে তারাই পরবর্তীকালে অনুদানের যোগ্য। যারা দেবে না তাদের অনুদানের টাকা দেওয়া হবে না। এদিন আদালত স্পষ্ট করে দেয় যারা অনুদানের হিসেব দেয়নি টাকা টাকা পাবে না।
55
জনস্বার্থ মামলা
দুর্গাপুজোর অনুদান নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্ত মামলা দায়ের করা হয়েছিল। দাবি করা হয়েছিল সরকারি অর্থের অপব্যবহার করা হচ্ছে। আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ও শামিম আহমেদ সওয়াল করেছিল উপযুক্ত জায়গায় টাকা খরচ না করে বিলিয়ে দিচ্ছে রাজ্য সরকার। যদিও রাজ্যের বক্তব্য ছিল উন্নয়নমূলক প্রকল্পেই ব্যবহার করা হচ্ছে এই টাকা। সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইভ নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি-সহ একাধিক কাজেই এই টাকা ব্যায় করা হয়েছিল।