
Calcutta High Court: বিচারপতি অমৃতা সিনহার (Amrita Sinha) এজলাসে বুধবার, এই মামলা উঠলে বিচারপতি নির্দেশ দেন, নির্যাতিতা যাতে পুলিশি নিরাপত্তা পায়, সেই বিষয় অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে।
জানা যাচ্ছে, কোচবিহারের দিনহাটা থানা এলাকায় প্রাথমিকে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এবং সেইসঙ্গে। ধর্ষণের অভিযোগ। আর এই ঘটনায় কাঠগড়ায় এক স্থানীয় তৃণমূল নেতা (TMC Leader)।
জানা গেছে, স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি ওই নেতাকে পরে অবশ্য গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযোগ উঠছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষিকার চাকরি দেওয়ার নাম করে ওই মহিলার বাবার কাছ থেকে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা নেন শাসকদলের সেই নেতা। এরপর অনেকটা সময় কেটে গেলেও চাকরি আর হয়নি (primary teacher vacancy in west bengal)।
তারপর গত ১৪ মার্চ, ওই মহিলাকে হঠাৎ চাকরির ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হয়। সেই মতো তৃণমূল নেতার সঙ্গে দেখা করতে গেলেই তাঁকে গাড়ি করে একটি ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে গিয়ে কার্যত ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেন ওই নেতা, এইরকমই অভিযোগ উঠছে। শুধু তাই নয়, ধর্ষণের সময়ের ছবি এবং ভিডিও করেও রাখা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।
তবে সেখানেই শেষ নয়। নির্যাতিতা আরও অভিযোগ করেছেন, ধর্ষণের পর তাঁকে মদ খাওয়ার জন্যও জোর করা হয়। কিন্তু তাতে রাজি না হওয়ায় মদের বোতল দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা। সেই মহিলার অভিযোগ, ধর্ষণের সময়, ভিডিও এবং ফটো তুলে তাঁকে ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছিল (primary teachers recruitment 2025)।
সেইসঙ্গে এও বলা হয় যে, যদি চাকরির জন্য সেই হাতিয়ে নেওয়া টাকা যদি ফেরত চাওয়া হয়, তাহলে তাঁর স্বামীকে এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে সেই সমস্ত ছবি এবং ভিডিও দিয়ে দেওয়া হবে বলে ভয় দেখানো হয়।
প্রথমে অবশ্য ভয়ে কিছু বলতে পারেননি সেই নির্যাতিতা। কিন্তু পরে বাড়িতে সবটা জানিয়ে দেন তিনি। এরপর তাঁর বাবা পুলিশে অভিযোগ জানান। এরপরেই আদালতে মামলাটি ওঠে। আর সেই মামলাতেই এবার বড় নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। জানা যাচ্ছে, ওই মহিলার বিরুদ্ধেই উল্টে থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল।
তবে পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত, অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করল উচ্চ আদালত। সেইসঙ্গে, বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, নির্যাতিতাকে উপযুক্ত পুলিশি নিরাপত্তা দিতে হবে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।