বলা হয়, ২০০৬ সালে নিযুক্ত প্রাথমিক শিক্ষকদের দু বছরের D.EI.ED. ডিগ্রী না থাকা সত্ত্বেও তারা সেই ডিগ্রিধারী ‘A’ ক্যাটাগরির সমান সমানে বেতন পেয়ে এসেছেন। অর্থাৎ নিজেদের প্রাপ্যর তুলনায় বেশি মাইনে পেয়েছেন তারা।
দিন কয়েক আগেই রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের জারি করা একটি নির্দেশ ঘিরে শোরগোল পড়ে যায় রাজ্যে। চিন্তায় ঘুম উড়ে যায় প্রাথমিক শিক্ষকদের একাংশের। প্রাইমারি টিচারদের মধ্যে কাদের যোগ্যতামান ‘এ’ ক্যাটেগরির, এই বিষয়ে তথ্য পেতে তৎপর হয় শিক্ষা দপ্তর।
বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়, ২০০৬ সালে নিযুক্ত প্রাথমিক শিক্ষকদের দু বছরের D.EI.ED. ডিগ্রী না থাকা সত্ত্বেও তারা সেই ডিগ্রিধারী ‘A’ ক্যাটাগরির সমান সমানে বেতন পেয়ে এসেছেন। অর্থাৎ নিজেদের প্রাপ্যর তুলনায় বেশি মাইনে পেয়েছেন তারা। যেসকল শিক্ষকেরা এর আওতায় আসবেন তাদের অতিরিক্ত বেতন ফেরত দিতে হবে বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়।
যার ফলস্বরূপ প্রত্যেক প্রাথমিক শিক্ষককে কম করে হলেও প্রায় তিন-সাড়ে তিন লক্ষ টাকা ফেরত দিতে হবে বলে জানা যায়। যা শুনে রীতিমতো মাথায় বাজ পড়েছে সেই সকল শিক্ষকদের। রাজ্যের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় প্রাথমিক শিক্ষকদের সংগঠন ‘দ্যা টিচার্স সোসাইটি’।
আজকের মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের সাফ নির্দেশ, ২০০৬ সালে নিযুক্ত কোন প্রাথমিক শিক্ষককে এই দুই বছরের ডিগ্রী না থাকার জন্য তাদের বেতন থেকে কোনও টাকা ফেরতের দিতে হবে না। আদালতের রায়ে অবশেষে স্বস্তির নিঃস্বাস ফেলেন শিক্ষকরা। তবে জানা যাচ্ছে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে ২০০৬ সালে নিয়োগের পুরো প্যানেলকেই ‘A’ ক্যাটাগরি ঘোষণা করার দাবি জানাতে চলেছে শিক্ষক সংগঠন।
জেনে রাখা ভালো যে, রাজ্য সরকারের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুসারে ২০০৬-এর ১ জানুয়ারি বা তারপর (২০১১) প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিযুক্ত শিক্ষকদের মধ্যে অধিকাংশই মাধ্যমিক পাশ ও এক বছরের শিক্ষকতার প্রশিক্ষণের ভিত্তিতে চাকরি পেয়েছিলেন। সেই সময় তাদেরই ‘এ’ ক্যাটেগরির শিক্ষক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সেই হিসেবেই তারা মাইনে পেয়ে এসেছেন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।