রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসার আর্জি জানিয়ে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে চিঠি দিয়েছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে ১৪৪ ধারার কারণ দেখিয়ে অনুমতি দেয়নি পুলিশ। এরপরই আদালতের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু।
ভোট পরবর্তী হিংসায় ‘আক্রান্ত’দের নিয়ে ও বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসার আর্জি জানিয়ে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে চিঠি দিয়েছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে ১৪৪ ধারার কারণ দেখিয়ে অনুমতি দেয়নি পুলিশ। এরপরই আদালতের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু।
কিছু মাস আগে রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগেই এই প্রসঙ্গের উল্লেখ করে আদালতে শুভেন্দুর আইনজীবীর আদালতে বলেন, ‘প্রশাসনিক কারণ দেখিয়ে পুলিশ আমাদের আবেদন বাতিল করে দিয়েছে। যদি ১৪৪ জন্য তা করা হয় তাহলে গত বছর তৃণমূলকে কেন অনুমতি দিয়েছিল পুলিশ?’ শুধুমাত্র বিজেপি নেতা বলেই শুভেন্দুকে আটকানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়।
এই মামলায় বড়সড় রায় পেলেন শুভেন্দু। অবশেষে বিরোধী দলনেতাকে রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ, ধর্নায় বসতে পারবেন শুভেন্দু।
এদিন এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে আদালত জানিয়েছে, আগামী ১৪ জুলাই রবিবার সকাল ১০টা থেকে ৪ ঘণ্টা অর্থাৎ দুপুর ২টো পর্যন্ত রাজভবনের উত্তর গেটের সামনে ধর্নায় বসতে পারবেন বিরোধী দলনেতা। তবে সময়ের পাশাপাশি একাধিক শর্তও বেঁধে দিয়েছে হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের নির্দেশ, ৩০০জনকে নিয়ে ধর্নায় বসতে পারবেন শুভেন্দু। শান্তিপূর্ণ ধর্না হবে। কোনও ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করা যাবে না সেখানে। ধর্না মঞ্চ থেকে কোনও ধরনের উস্কানিমূলক মন্তব্য করা যাবে না। পাশাপাশি আদালতের নির্দেশে সম্মতি জানিয়ে রাজ্যও জানায়, ছুটির দিনে ওই সময় ৪ ঘণ্টা বিরোধী দলনেতা ধর্না চললে তাদেরও কোনও আপত্তি নেই।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।