নিজের চালে নিজেই ফাঁদে পড়ে গেলেন মমতা। অন্ততপক্ষে রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞদের একাংশ এমনটাই দাবি করছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে।
একেই বলে বুমেরাং। কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে যেমন অভিযোগ তুলতে দেখা যায় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারকে, ঠিক সেই রকমই অভিযোগ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে তুলতে দেখা গেল জিটিএকে। তিনি টাকা-পয়সা নিয়ে যেভাবে চাপ সৃষ্টি করে থাকেন কেন্দ্রের উপর ঠিক সেই রকমই চাপ সৃষ্টি এবার তার ওপর করতে শুরু করা। টাকা পয়সা নিয়ে এমন চাপ এবার কেন্দ্র বা কোন রাজ্য নয়, মমতার ওপর এমন চাপ সৃষ্টি করতে তারই পথ বেছে নিল পাহাড়।
নিজের চালে নিজেই ফাঁদে পড়ে গেলেন মমতা। অন্ততপক্ষে রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞদের একাংশ এমনটাই দাবি করছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে। জিটিএ-র যে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে তা হল, গত কয়েক বছরে রাজ্য সরকারের বাজেটে পাহাড়ের উন্নয়নের জন্য যে সকল টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, তার একাংশ দেওয়া হয়নি। আর এই বরাদ্দ টাকা না দেওয়ার কারণে সমস্যায় পড়েছে জিটিএ।
উল্লেখ্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বারবার অভিযোগ তুলতে দেখা গিয়েছে, কেন্দ্র সরকার বিভিন্ন বরাদ্দ বাবদ রাজ্যের টাকা দীর্ঘদিন ধরে আটকে রেখেছে। রাজ্যের টাকা আটকে রাখার ফলে সরকারের তরফ থেকে জনকল্যাণমূলক বিভিন্ন কাজ করা হচ্ছে না। এমনকি টাকা আদায়ের জন্য একাধিকবার কেন্দ্রকে চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অথবা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। এবার সেই একই পথে হাঁটল গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা জিটিএ।
রাজ্য সরকারকে যে চিঠি দেওয়া হয়েছে সেই চিঠিতে ২০১৪-১৫ অর্থবর্ষ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষ পর্যন্ত কত টাকা পাওনা রয়েছে তা তুলে ধরা হয়েছে। সব মিলিয়ে গত ৯ বছরে পাহাড়ের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৯১২ কোটি টাকা এবং দেওয়া হয়েছে ৬৭৩ কোটি টাকা। বকেয়া রয়েছে ২৭৮ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা। যেমন ২০১৪-১৫ অর্থবর্ষে ৯০ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হলেও পেয়েছে কেবলমাত্র ৬৮ কোটি ১০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী অর্থবর্ষে ১৩০ কোটির জায়গায় দেওয়া হয়েছে মাত্র ৪২ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা। আবার করোনা ও লকডাউনের সময় আলাদা করে কোন বরাদ্দ করা হয়নি।
GTA এর তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, রাজ্য সরকারের বাজেট অনুযায়ী নানান উন্নয়নমূলক কাজ করা হলেও সেই সকল কাজের জন্য নবান্ন কোন টাকা না দেওয়াই ঠিকাদারদের পাওনাগন্ডা মিটানোর ক্ষেত্রে সমস্যায় করতে হচ্ছে। নবান্ন টাকা না দেওয়াই ঠিকাদারদের টাকা আটকে থাকার ফলে বেশ কিছু ঠিকাদার রয়েছেন যারা নতুন কাজে হাত দিতে চাইছেন না।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।