সরস্বতী পুজো কে করবে? এই নিয়েই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে মারামারি লেগে গেল তৃণমূলের দুই ছাত্র সংগঠনের মধ্যে

প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, যাঁরা ঝামেলায় জড়িয়েছেন তাঁরা প্রত্যেকেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্য। অশান্তির সমাধান পেতে অবশেষে পুলিশের দ্বারস্থ হয় উভয় পক্ষই।

Web Desk - ANB | Published : Jan 25, 2023 11:26 AM IST

বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে সরস্বতী পুজো করবে কোন পক্ষ, এই নিয়েই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে হাতাহাতি লেগে গেল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে। রাজ্যের তথা গোটা দেশের স্বনামধন্য এই প্রতিষ্ঠানে সরস্বতী পুজো করা নিয়ে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ল পড়ুয়ারা। প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, যাঁরা ঝামেলায় জড়িয়েছেন তাঁরা প্রত্যেকেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্য। এই মারামারির প্রভাব গিয়ে পড়েছে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের ওপরেও।

বিশ্ববিদ্যালয়ে কে সরস্বতী পুজো করবে, এই নিয়ে সমস্যা আগে থেকেই বিদ্যমান ছিল। এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি ক্যাম্পাসে ভোগ প্রসাদ বিতরণ, আলপনা দেওয়া ও প্যান্ডেল করার জন্য টেন্ডারের নোটিশ জারি করে কর্তৃপক্ষ। গত শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয় এই বিজ্ঞপ্তি। মঙ্গলবার সেই টেন্ডারের কাজই চলছিল।

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাস, বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজ, টেকনোলজি ক্যাম্পাস সল্টলেক, আলিপুর ক্যাম্পাস, হাজরা ল’ কলেজ ক্যাম্পাস, এই পাঁচটি ক্যাম্পাসে পুজো করার জন্যই এই টেন্ডার। সূত্রের খবর, টিএমসিপির রাজ্য নেতৃত্বের প্রতিনিধিদের গোষ্ঠীর তরফে কিছু সংস্থাকে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করানোর জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল। আরেকদিকে টিএমসিপি নেতা মহম্মদ জিশানের দলবলের তরফেও ডাকা হয়ে কয়েকটি সংস্থাকে। এই নিয়ে শুরু হয় চাপা উত্তেজনা। সরগরম পরিস্থিতির মধ্যে কয়েকজন ছাত্রী ক্যাম্পাসের মধ্যে সরস্বতীর প্রতিমা নিয়ে ঢোকেন।

ওই ছাত্রীরা ঠাকুর নামানোর উদ্যোগ করতেই কিছু পড়ুয়া তখনই তাঁকে বাধা দেন বলে অভিযোগ। দু’পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়ে যায়। সেখান থেকে ধাক্কাধাক্কি হতে হতে তা একেবারে পৌঁছে যায় হাতাহাতিতে। রাজ্যে নেতৃত্বের প্রতিনিধিদের গোষ্ঠীর সঙ্গে জিশান গোষ্ঠীর দলবদলের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় চলতে থাকে। ঐতিহ্যবাহী কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সরস্বতী পুজো নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। অশান্তির সমাধান পেতে অবশেষে পুলিশের দ্বারস্থ হয় দু’পক্ষ। জিশান সহ সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের একাংশের বক্তব্য, অভিরূপ চক্রবর্তীর গোষ্ঠীর ছেলেরা এদিন হঠাৎ হামলা চালায়। বেশ কিছুদিন ধরেই বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করছে। এমনকী সরস্বতী পুজোয় যাতে আইডি কার্ড দেখে পড়ুয়াদের ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেওয়া হয়, এ বিষয়ে তাঁরা কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাবেন বলেও জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন- 
ফ্লাই ওভারের নিচে দাঁড়ালেই টাকার বৃষ্টি, বেঙ্গালুরুতে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির আজব কাণ্ড!

বিশ্বভারতীর পর রবীন্দ্রভারতী, সরস্বতী পুজোর আগে পড়ুয়া বনাম কর্মীদের হাতাহাতিতে রণক্ষেত্র বিশ্ববিদ্যালয়

Share this article
click me!