আজ আবার কেন আরজি করের নির্যাতিতার বাড়িতে CBI? সেমিনার হলে খুন কিনা তা নিয়ে ধোঁয়াশা
নির্যাতিতার বাড়ি এবং আরজি কর হাসপাতালে পুনরায় সিবিআই-এর তল্লাশি। খুনের স্থান এবং ঘটনার সত্যতা উন্মোচনে তীব্র তৎপরতা। সন্দেহের তীর তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের দিকে।
Saborni Mitra | Published : Aug 19, 2024 9:24 AM IST / Updated: Aug 19 2024, 05:28 PM IST
নির্যাতিতার বাড়িতে সিবিআই
বৃহস্পতিবারের পর সোমবার আবার নির্যাতিতার বাড়িতে গেল সিবিআই -এর একটি প্রতিনিধি দল।
দুটি সিবিআই-এর দল
সোমবার সকালে সিবিআই-এর দুটি দল সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে যায়। একটি দল যায় নির্যাতিতার বাড়িতে। অন্য দলটি গিয়েছে আরজি কর হাসপাতালে।
বৃহস্পতিবারের তল্লাশি
সূত্রের খবর বৃহস্পতিবার সিবিআই-এর পাঁচ সদস্যের একটি দল আরজি করের নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়েছিল। তারা সোদপুরের বাড়িতে নির্যাতিতার বই, খাতাপত্র ঘেঁটে দেখে। কিন্তু এদিন কেন গিয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
অনুমান খুনের জায়গা জানতে
সিবিআই-সূত্রের খবর এখনও তরুণী চিকিৎসক খুনের জায়গা নিয়ে ধ্বন্ধ কাটেনি সিবিআই-এর। নির্যাতিতার বাবা-মায়ের দাবি মেয়েকে অন্যত্র খুন করে দেহ আরজি করের সেমিনার হলে রেখে দেওয়া হয়েছিল।
সিবিআই খুঁজছে
সিবিআই এখনও এই বিষয়ে স্পষ্ট তথ্য হাতে পারনি বলেও সূত্রের খবর। সেই কারণে এদিন একটি দল গিয়েছে আরজি কর হাসপাতালে। অন্য দলটি গিয়েছে নির্যাতিতার বাড়িতে।
সেমিনার হলে খুন?
সিবিআই সূত্রের খবর সেমিনার হলেই খুন ও ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা তা জানতে ডিজিটাল ম্যাপিং করা হয়েছে। ঘটনাস্থলের 3D লেজার ম্যাপিং করা হয়েছে। তাই সেখানে যদি ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে তাদের হাতে প্রয়োজনীয় তথ্য আসবেই।
সন্দীপকে জেরে
এই নিয়ে চতুর্থবার সিবিআই জেরা করছে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। সোমবার সকাল থেকেই দেরা করা হচ্ছে।
আগেই বয়ান রেকর্ড
সিবিআই সূত্রের খবর আগেই নির্যাতিতার বাবা ও মায়ের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছিল। সেখানে তাদের যা যা সন্দেহ বা অনুমান- সবই তারা জানিয়েছিলেন। প্রথম থেকেই তারা খুনের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন।
প্রশ্ন কেন আত্মহত্যা বলা হল
সিবিআই-এর কাছে এখন স্পষ্ট যে নির্যাতিতার দেহ দেখার পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কেন প্রথমেই আত্মহত্যার তকমা লাগাতে চেয়েছিল। কারণ চিকিৎসকদের সাধারণত বোঝা উচিৎ কোনটা খুন আর কোনটা আত্মহত্যা।
নজরে সন্দীপ
ঘটনার পর দিন থেকেই আরজি করের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। সিবিআই-এর নজরেও সেই সন্দীপই। নাহলে তাঁকে টানা চার দিন ধরে জেরা করা হত না। তারও ফরেনসিকে পাঠান হতো না।