সিবিআই সূত্রে দাবি, ইতিমধ্যেই একাধিক সাক্ষীর বয়ানে সায়নী ঘোষের নাম উঠে এসেছে। এইসব খতিয়ে দেখতেই এবার ময়দানে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।
শনির ফের কাটছেই না তৃণমূলের যুবনেত্রী ও অভিনেত্রী সায়নী ঘোষের। ইডির পর এবার সিবিআইয়ের জেরার মুখে পড়তে হতে পারে তাঁকে। সূত্রের খবর ৫ই জুলাই ফের তাকে তলব করা হয়েছে। শুক্রবারই প্রায় ১১ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে।
ED-সূত্রে দাবি, তাদের স্ক্যানারে রয়েছে সায়নী ঘোষের গল্ফগ্রিনের ২টো ফ্ল্যাট। ২টো ফ্ল্যাটই ২০২০-২১ সালে কেনা হয়েছে।একটি ফ্ল্যাটের দাম ৩৫ লক্ষ টাকা। এই ফ্ল্যাটটি সায়নীর মায়ের নামে কেনা। অপর ফ্ল্যাটটির দাম ৮০ লক্ষ টাকা। এই ফ্ল্যাটটি কেনা হয় সায়নীর নামে। এছাড়াও, পৈত্রিক সূত্রে একটি বাড়ি রয়েছে সায়নীর।
জানা গিয়েছে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে সায়নী রোজগার করেছিলেন ৪৯ লক্ষ ২ হাজার ৫৬৮ টাকা ৩২ পয়সা। এক অর্থবর্ষে এত টাকা রোজগার করা মানেই বোঝা যায় সায়নী ঘোষের সম্পত্তির পরিমাণ কত হতে পারে। এরই সঙ্গে রয়েছে মোটা টাকায় কেনা ফ্ল্যাট। ৩০ জানুয়ারি, দুর্নীতি মামলার শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, আমি শুনেছি এক অভিনেত্রী তিনটি ফ্ল্যাট ভেঙে একটা বড় ফ্ল্যাট পেয়েছেন। জানতে চাই কে তিনি? এই অভিনেত্রীকে দেখতে চাই। তার সিনেমাও দেখতে চাই। অভিনেত্রীর নাম জানিয়ে, ED কে হলফনামা পেশ করার নির্দেশও দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
এবার ইডি নয়, সিবিআইয়ের জেরার মুখে পড়তে হতে পারে সায়নীকে। দলের সাধারণ সম্পাদক কুন্তল ঘোষকে কাজের সূত্রেই চিনতেন বলে দাবি করেছেন সায়নী। তাঁর দাবি কুন্তলকে সাধারণ সম্পাদক করার পিছনে তাঁর কোনও ভূমিকা নেই। ইতিমধ্যেই ইডির থেকে সায়নী সম্পর্কে তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে সিবিআই। সিবিআই মূলত প্রশ্ন করবে সায়নী কুন্তল যোগ নিয়ে। সিবিআই সূত্রে দাবি, ইতিমধ্যেই একাধিক সাক্ষীর বয়ানে সায়নী ঘোষের নাম উঠে এসেছে। এইসব খতিয়ে দেখতেই এবার ময়দানে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।
এখানেই প্রশ্ন তুলছেন ইডির আধিকারিকরাও। ইডির তরফে জানানো হয়েছে, কেবল সম্পত্তি কেনাবেচা নয়, তথ্য পাওয়া গিয়েছে একাধিক আর্থিক লেনদেনেরও। সেই তথ্যকে সামনে রেখেই সায়নী ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি। গত কয়েকমাস ধরে একাধিক সাক্ষীদের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রে জানানো হয়েছে। সেই বয়ানে পাওয়া গিয়েছে সায়নী ঘোষের নাম। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছিল কুন্তল ঘোষকে। তাঁর বয়ানে উঠে এসেছে একটি সম্পত্তির তথ্য। সেটা কেনাবেচা সংক্রান্ত ও বিভিন্ন দুর্নীতি মামলায় নাম উঠে এসেছে তৃণমূল কংগ্রেসের এই যুবনেত্রীর।