পঞ্চায়েত ভোটের নিরাপত্তার ভবিষ্যত কী? সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের দিকে নজর নির্বাচন কমিশনের

অনেকের অনুমান, বাকি ৪৮৫ কোম্পানি বাহিনী কেন্দ্র হয়তো আর দিতে পারবে না। ৩৩৭ কোম্পানি দিয়েই পঞ্চায়েত ভোট করাতে হবে। কমিশনও সেই আন্দাজ করে ফেলেছে।

কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী রাজ্যের এক দফা পঞ্চায়েত ভোটে মোট ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসার কথা। প্রথমে ২২ কোম্পানি এবং দ্বিতীয় দফায় ৩১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার কথা নির্বাচন কমিশন। এই বাহিনী ইতিমধ্যে রাজ্যে ঢুকতে শুরু করেছে। বাকি ৪৮৫ কোম্পানি বাহিনী নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।

বাকি সংখ্যক বাহিনী আসবে না ধরে নিয়েই কাজ শুরু করতে চাইছে নির্বাচন কমিশন। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘাটতি মেটাতে পুলিশকে কাজে লাগানো হতে পারে। বাকি কেন্দ্রীয় বাহিনী না এলে বুথের নিরাপত্তার দায়িত্বে ব্যবহার করা হতে পারে পুলিশকেই। কমিশনের দাবি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে বার বার কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য আবেদন করেও কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। এই অবস্থায় পঞ্চায়েত ভোটের নিরাপত্তা নিয়ে যে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে সোমবার তা হাই কোর্টে কাটতে পারে।

Latest Videos

সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে একাধিক জনস্বার্থ এবং আদালত অবমাননা মামলার শুনানি রয়েছে। ভোটের দফা বৃদ্ধি নিয়ে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। ওই মামলাটিরও শুনানি রয়েছে এদিন। এই মামলাগুলিতে আদালত কোনও নির্দেশ দিলে বা আদালতের কোনও দৃষ্টিভঙ্গি থাকলে সেই অনুযায়ী বাকি পদক্ষেপ করা হতে পারে বলে কমিশনের মত। ফলে আপাতত কলকাতা হাইকোর্টের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে কমিশন।

অনেকের অনুমান, বাকি ৪৮৫ কোম্পানি বাহিনী কেন্দ্র হয়তো আর দিতে পারবে না। ৩৩৭ কোম্পানি দিয়েই পঞ্চায়েত ভোট করাতে হবে। কমিশনও সেই আন্দাজ করে ফেলেছে। তারা দফা না বাড়িয়ে পুলিশকর্মী বাড়িয়ে ভোট করাতে পারে। অন্য দিকে, কেন্দ্রের তরফে সোমবার হাই কোর্টে কী জানানো হয়, সেদিকেও নজর থাকবে কমিশনের।

কমিশন সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত ভোটে ৬১, ৬৩৬ ভোটকেন্দ্রের জন্য প্রায় এক লক্ষ ৩০ হাজার জন নিরাপত্তারক্ষী প্রয়োজন। এখনও পর্যন্ত ৩৭ হাজার কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে। অর্থাৎ, প্রতি বুথে একজন করেও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা যাবে না। অন্য দিকে, ভোটের জন্য আরও প্রায় এক লক্ষ নিরাপত্তাকর্মী প্রয়োজন। বাকি কেন্দ্রীয় বাহিনী আর আসবে না ধরে নিয়েই পরিকল্পনা শুরু হয়েছে। যদি না আসে তবে বুথের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে পুলিশ। এলাকা টহলদারি, উপদ্রব হতে পারে এমন এলাকায় নজরদারি-সহ আইনশৃঙ্খলার কাজে কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করা হবে। রাজ্যের কাছে আবার ওই সংখ্যক বাহিনী নেই। এই অবস্থায় ভোটগ্রহণের কয়েক দিন আগে নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তায় কমিশন।

Share this article
click me!

Latest Videos

টোটোর ভাড়া চাইতেই এইরকম কাণ্ড! দেখলেই আঁতকে উঠবেন, চাঞ্চল্য Malda-এ | Malda News Today
গভীর রাতে ধানক্ষেতে ভয়াবহ দৃশ্য! শিউরে উঠবেন আপনিও, আতঙ্কে গোটা Jaynagar, দেখুন | South 24 Parganas
সীমান্তের নিরাপত্তা হুমকির মুখে! Bangladeshi Infiltration কবে থামবে? | Gede Border | Rohingya
কি বললেন? সুকান্তকে পাল্টা জবাব দিলেন শুভেন্দু | Suvendu Adhikari | Sukanta Majumdar | Bangla News
বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে এ কী করলো নাবালিকার সঙ্গে! চমকে যাবেন আপনিও, চাঞ্চল্য Nabadwip-এ | Nadia