RG Kar-কাণ্ডে CCTV ফুটেজ থেকে বড় আপডেট পেল সিবিআই, তদন্তে ভরসা সন্দীপের মোবাইল ফোন

আরজি কর হত্যাকাণ্ডে রহস্যের জট ছাড়াতে সিবিআই-এর অন্যতম ভরসা সিসিটিভি ফুটেজ।

সিবিআই সূত্রের খবর সিসিটিভি ফুটেজের ফ্রেম টু ফ্রেম খতিয়ে দেখেছে সিবিআই। কিন্তু নির্যাতিতাকে অচৈতন্য অবস্থায় সেমিনার রুমে নিয়ে আসার তথ্য পাওয়া যায়নি।

সিবিআই সূত্রের খবর আরজি কর হাসপাতালের ৮ আগস্ট রাত থেকে ৯ আগস্ট সকালবেলা পর্যন্ত সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়েছে। তাতে সেই সন্দীপের বড় তথ্য।

সিবিআই সূত্রের খবর সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে স্পষ্ট ধারনা হয়েছে সন্দীপ ঘোষ ঘটনার দিন রাতে আরজি কর হাসপাতালে আসেননি। তিনি আসসেননি ভোরবেলাতে।

সিবিআই সূত্রের খবর ঘটনার দিন রাতে ও পরের দিন সকালে সন্দীপের হাসপাতালে আসার কোনও তথ্য তাদের হাতে নেই। তাই সন্দীপকে কাঠগড়ায় তুলতে তাদের ভরসা মোবাইলফোনের কল রেকর্ড।

আরজি কর হাসপাতালের রহস্য উদঘাটনে সিবিআই-এর বড় ভরসা হাসপাতাল ও আসপাশের সিসিটিভি ফুটেজ। হাসপাতালের ৫৩টি সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেছে সিবিআই। প্রত্যেটি সিসিটিভি ফুটেজের ফ্রেম টু ফ্রেম বিশ্লেষণ করেছে।

সিবিআই সূত্রের খবর ক্রাইম স্পষ্ট ছিল সেমিনার রুম। আর সেই কারণে আরজি কর হাসপাতালের চারতলার দুটি সিসিক্যামেরার ওপর বিশেষ নজর ছিল সিবিআই-এর।

সিবিআই সুপ্রিম কোর্টে দাবি করেছিল ক্রাইম সিন বদলে দেওয়া হয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর ছিল ঘটনা অন্যত্র ঘটনা হয়েছে। কিন্তু নির্যাতিতাকে সেমিনার রুমে নিয়ে আসার প্রমাণ এখনও নেই ।

সিবিআই সূত্রের খবর আরজি কর হত্যাকাণ্ডের প্রমাণ লোপাটে সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলের বিশেষ ভূমিকা ছিল। আর সেই কারণে সিসিটিভি ফুটেজে তাদের হদিশ না পাওয়ায় তদন্তকারীদের পুরোপুরি ভরসা করতে হবে মোবাইল ফোনের কল রেকর্ডের ওপর।

সিসিটিভি ফুটেজে সঞ্জয় রায় ও দুই চিকিৎসককে ঘটনার দিন রাতে সেমিনার হলে যাওয়া আসা করতে দেখা গেছে। সঞ্জয়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুই চিকিৎসকের বয়ানেও সন্তুষ্ট সিবিআই। তাই প্রশ্ন কে খুন করল আরজি করের তরুণী চিকিৎসককে।