তাঁর কথায়, “আমি একজন আন্দোলনের কর্মী হিসেবে দেখেছি, আজ কলকাতার জনগণ মিছিল খুঁজে নিচ্ছে। মোড়ে মোড়ে স্লোগান উঠছে। প্রতিটা মানুষ তাঁর নিজের নিজের এলাকায় বিচার চাইছে। কারণ, সে নিজেও ন্যায় বিচার পাচ্ছে না কোথাও কোথাও। যে মানুষটা আমাদের আন্দোলন মঞ্চে এসে পাখা দিয়ে হাওয়া করেছে, সেই আমাদের আন্দোলনে শামিল। এটাই তাঁর প্রতিবাদের ভাষা। আমাদের আন্দোলন একটা দৃষ্টান্ত তৈরি করতে পেরেছে।"
অনিকেত জানান, “আরজি করের বুকে ঘৃণ্য রাজনীতি চলত। সেই অচলায়তন আমরা কাটিয়ে দিতে পেরেছি। ছাত্র-শিক্ষকদের মধ্যে যেইরকম সম্পর্ক রাখা উচিৎ, সেটাই আমরা চেষ্টা করছি। আমরা, ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট’ আরজি করে একটী সুস্থ এবং গণতান্ত্রিক ফিরিয়ে আনতে পেরেছি। আর নবান্নের প্রথম মিটিং-এর যদি লাইভ স্ট্রিমিং হত, তাহলে আপনারা আরও অনেক কিছুই জানতে পারতেন। আমরা চাইছি কমিটির মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করার। সিবিআই-এর প্রাইমারি চার্জশিট আর পুলিশের মতোই কার্বন-কপি। পুলিশ এবং কর্তৃপক্ষের এই উদাসীনতা আমাদের রাজপথে আসতে বাধ্য করেছে। আপনারা যেভাবে পাশে থেকেছেন, তা আমাদের অনেকটাই জোর বাড়িয়ে দিয়েছে। একজন সিভিক ভলান্টিয়ারকে বাঁচাতে কেন এত তৎপর সরকার? আমরা এখনও মনে করি যে, এই ঘটনা একজনের পক্ষে ঘটানো সম্ভব নয়। তাহলে চার্জশিটে সেইরকম কিছু কেন দেখা যাচ্ছে না?”
তিনি বলছেন, “মেডিক্যাল কলেজ ক্যাম্পাসের লড়াই লড়ে নেবে জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট। আমরা নাগরিক সমাজকেও এই লড়াইতে আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা যেখানে যেখানে কাজ করছেন, সেখানেও যদি আপনাদের স্বাধিকার ভঙ্গ হয়, রুখে দাঁড়ান। এই লড়াই আমাদের-আপনাদের সবার। সুস্থ এবং স্বাভাবিক সমাজ গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমাদের এই লড়াই।"