যদিও, চৈতালী চট্টোপাধ্যায়কে বিচারপতি হিসেবে সুপারিশের ক্ষেত্রে কোনো রকম মতামত ব্যক্ত করেননি, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।
কলকাতা হাইকোর্টে জমে রয়েছে অসংখ্য মামলা। প্রয়োজনীয় বিচারপতি নেই। ঠিক এইরকম মুহূর্তে সুখবর জানালো দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট। জানা গেছে, খুব তাড়াতাড়ি নতুন বিচারপতি পেতে চলেছে কলকাতা হাইকোর্ট। নতুন বিচারপতির নাম সুপারিশ করল সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম। নতুন বিচারপতি হিসেবে কলকাতা হাইকোর্টে যোগ দিতে চলেছেন চৈতালি চট্টোপাধ্যায়ের। বর্তমানে তিনি কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল পদে রয়েছেন। এই নিয়োগের জন্য ইতিমধ্যেই সুপারিশ করেছে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম।
বৃহস্পতিবার কলেজিয়ামের তরফে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত বছর ২৬ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের দুই সিনিয়র বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শ ক্রমে চৈতালী চট্টোপাধ্যায়ের নাম পরবর্তী বিচারপতি হিসেবে সুপারিশ করেছিলেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম। কিন্তু চৈতালী চট্টোপাধ্যায়কে বিচারপতি হিসেবে সুপারিশের ক্ষেত্রে কোনো রকম মতামত ব্যক্ত করেননি, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।
কলেজিয়াম গোটা বিষয়টি বিবেচনা করেছে। এবং জানাচ্ছে, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপাল এই সুপারিশের বিষয়ে যদি কোন মতামত ব্যক্ত না করেন তাহলে ধরে নিতে হবে এ বিষয়ে তাঁদের কিছু বলার নেই। তাই কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির সুপারিশের বিষয়টি খতিয়ে দেখে শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন কলেজিয়াম কমিটি চৈতালি চট্টোপাধ্যায়কে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হিসাবে নিয়োগ করার সুপারিশে অনুমোদন দিচ্ছে।
জানা গেছে, চৈতালি চট্টোপাধ্যায় জুডিশিয়াল অফিসার হিসেবে এর আগে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন। জানা গিয়েছে, চৈতালী চট্টোপাধ্যায় ২০০৯ সালে জুডিশিয়াল সার্ভিসে যোগদান করেন। ১৯৯৩ সালে তিনি আইনজীবী হিসাবে নাম নথিভুক্ত করেন। খুব তাড়াতাড়ি বিচারপতি হিসাবে নিযুক্ত হতে চলেছেন রেজিস্ট্রার জেনারেল চৈতালি চট্টোপাধ্যায়। কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী বৈদূর্য ঘোষাল জানান, “নতুন বিচারপতি পাওয়ায় জমে থাকা মামলার বিচারে গতি আসবে”।