বিভিন্ন জেলায় টানা বৃষ্টির জেরে সব সবজির দরই আকাশছোঁয়া হয়ে গিয়েছে, বাজারে গিয়ে সমস্যায় মধ্যবিত্ত
অগ্নিমূল্য সবজির বাজার
এবার নির্ধারিত সময়ের আগেই পশ্চিমবঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করেছে। মে মাসের শেষদিক থেকে নিয়মিত বৃষ্টি হয়ে চলেছে। মাঝেমধ্যেই টানা কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হয়ে চলেছে। বৃষ্টির জেরে বিভিন্ন সবজির দর অত্যন্ত চড়া। ফুলকপি, বেগুন, পটল, উচ্ছে, কাঁকরোল, শশার মতো সবজির দর বাড়ছে। সবজি বিক্রেতাদের দাবি, জোগান কমে যাওয়ায় পাইকারি বাজারে দর বেড়ে গিয়েছে। এর ফলেই খুচরো বাজারেও সবজির দর বেড়ে গিয়েছে।
DID YOU KNOW ?
বাজারে সবজির দর চড়া
যে কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বিপর্যয়ের পরেই বাজারে সবজি-সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দর বেড়ে যায়। এবার টানা বৃষ্টির পর সবজির দর বেড়ে গিয়েছে।
26
ফুলকপি, বেগুন, পটল, ঢ্যাঁরশ, কাঁকরোলের মতো সবজির দর অনেক বেড়ে গিয়েছে
বিভিন্ন সবজির দর বেড়ে গিয়েছে
যাঁরা নিয়মিত বাজারে যান এবং যাঁরা সবজি বিক্রি করেন তাঁরা জানিয়েছেন, কিছুদিনের মধ্যেই সবজির দর প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। কয়েকদিন আগে ফুলকপি ৩০ টাকা করে বিক্রি হলেও, এখন ৫০-৬০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। বেগুনের দর ১০০ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। পটল, ঢ্যাঁড়শ, কাঁকরোল, শশা প্রতি কিলো ৭০ থেকে ৮০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচালঙ্কা প্রতি কিলো ১০০ থেকে ১২০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। টোম্যাটো প্রতি কিলো ৭০ থেকে ১০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। টোম্যাটোর দাম প্রতি কিলো ৭০ থেকে ১০০ টাকা।
১৫০
১৫০ টাকা প্রতি কিলো দরে বিক্রি হচ্ছে বেগুন!
টানা বৃষ্টির জেরে সব সবজির দরই বেড়ে গিয়েছে। প্রতি কিলো বেগুনের দর ১৫০ টাকায় পৌঁছে গিয়েছে।
36
বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টির ফলে ফসল নষ্ট হওয়ার কারণেই সবজির দর বেড়ে গিয়েছে, দাবি বিক্রেতাদের
বৃষ্টিতে ফসল নষ্ট
সবজি বিক্রেতারা জানিয়েছেন, বিভিন্ন গ্রাম থেকে জেলা সদর এবং কলকাতার বাজারে সবজি আসে। টানা বৃষ্টিতে বিভিন্ন জায়গায় মাঠে জল জমে গিয়ে ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ফলে বাজারে সবজির জোগান কমে গিয়েছে। এই কারণেই পাইকারি বাজারে সবজির দর বেড়ে গিয়েছে। ফলে খুচরো বাজারেও সবজির দর বেড়ে গিয়েছে।
সবজির দর নিয়ন্ত্রণ করতে কবে সক্রিয় হবে রাজ্য সরকারের টাস্ক ফোর্স?
কবে নিয়ন্ত্রণে আসবে সবজির দর?
মাসের শুরুতেই বাজারে সবজি কিনতে গিয়ে মধ্যবিত্ত শ্রেণির পকেট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন বাজারে গিয়ে শুধু সবজি কিনতে গিয়েই প্রায় ১,০০০ টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে। যাঁদের বেতন বেশি নয়, তাঁরা বাধ্য হয়ে সবজি কেনা বন্ধ করে দিচ্ছেন। সবজির দর নিয়ন্ত্রণ করার জন্য রাজ্য সরকারের টাস্ক ফোর্স আছে। কিন্তু সেই টাস্ক ফোর্স কবে সক্রিয় হবে, তার অপেক্ষায় সাধারণ মানুষ।
56
রাজ্য সরকার অবিলম্বে ব্যবস্থা না নিলে সবজির দর কমবে না, দাবি ক্রেতাদের
সরকারি হস্তক্ষেপের দাবি ক্রেতাদের
কৃষকরা জানিয়েছেন, বাজারে ফসলের দর চড়া হলেও, তাঁরা সেই লাভের অঙ্ক চোখে দেখতে পাচ্ছেন না। উল্টে বৃষ্টির জেরে ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তাঁদের ক্ষতিই হচ্ছে। এই অবস্থায় সরকারের দিকে তাকিয়ে কৃষকরা। রাজ্য সরকারের টাস্ক ফোর্স ফোর্সের সক্রিয় হওয়ার অপেক্ষায় ক্রেতারাও। তাঁদের দাবি, সবজির দর কমার বদলে বেড়েই যাবে।
66
মজুতদারি, ফড়েদের দাপট ঠেকানোর জন্য আর কবে ব্যবস্থা নেবে রাজ্য সরকার?
এখনও বাজারে ফড়েদের দাপট
কৃষকদের পাশাপাশি ক্রেতারাও দাবি করেছেন, মজুতদারির জন্যই খুচরো বাজারে সবজির জোগান কমে গিয়েছে। এই কারণেই সবজির দর বাড়ছে। দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ উঠছে, ফড়েদের দাপটের কারণে কৃষকরা ফসলের উপযুক্ত দাম পাচ্ছেন না, অন্যদিকে, সাধারণ মানুষকে বেশি দাম দিয়ে সবজি কিনতে হচ্ছে। অথচ ফড়েদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।