বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে একটি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে মোকা। এর গতি ও তীব্রতা দুই বৃদ্ধি পাবে। বৃহস্পতিবার সকালে আইএমডি জানিয়েছে যে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় মোকায় পরিণত হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় মোকা বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের মধ্যে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে বলে জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ বা আইএমডি। সংস্থার প্রকাশিত এক রিপোর্টে জানানো হয়েছে "পোর্ট ব্লেয়ারের প্রায় ৫১০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ-পশ্চিমে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় মোচা, কক্সবাজার (বাংলাদেশ) থেকে ১১৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে একটি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে মোকা। এর গতি ও তীব্রতা দুই বৃদ্ধি পাবে। বৃহস্পতিবার সকালে আইএমডি জানিয়েছে যে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় মোকায় পরিণত হয়েছে।
টুইট করে আইএমডি জানিয়েছে যে "দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের গভীর নিম্নচাপটি গত ছয় ঘন্টায় ৮ কিলোমিটার বেগে উত্তর-উত্তর-পশ্চিম দিকে সরে গেছে, একটি ঘূর্ণিঝড় "মোকা" হিসাবে ঘনীভূত হয়েছে এবং ১১ই মে ২০২৩ তারিখে সন্ধে সাড়ে পাঁচটায় কেন্দ্রীভূত হয়েছে। ১১.২°এন অক্ষাংশ এবং ৮৮.১° ই দ্রাঘিমাংশের কাছাকাছি একই অঞ্চল, পোর্ট ব্লেয়ারের প্রায় ৫১০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার (বাংলাদেশ) থেকে ১২১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং সিত্তওয়ে (মিয়ানমার) থেকে ১১২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে।"
এই বিষয়ে, ভারতীয় উপকূল রক্ষী (ICG) একটি অফিসিয়াল বিবৃতিও জারি করেছে যে ঘূর্ণিঝড় মোকার জন্য ভারতের আবহাওয়া দফতরের (IMD) সতর্কতার মধ্যে তাদের ইউনিটগুলিকে উচ্চ সতর্কতায় রাখা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে আইএমডির মাধ্যমে নির্দেশিত ঘূর্ণিঝড়ের প্রতিক্রিয়ার জন্য আইসিজি প্রস্তুত রয়েছে এবং আপডেটটি মৎস্য ও বেসামরিক প্রশাসনের সাথে শেয়ার করা হয়েছে।
এদিকে, সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন যে জনগণের ঘূর্ণিঝড়কে ভয় পাওয়ার দরকার নেই কারণ রাজ্য সরকার পরিস্থিতি সামাল দিতে তৈরি রয়েছে। যদিও, ঘূর্ণিঝড় মোকার প্রভাবে খুব বেশি প্রভাবিত হবে না পশ্চিমবঙ্গ। বৃহস্পতিবার বঙ্গোপসাগরে এই ঘূর্ণিঝড় জন্ম নিলেও তার অভিমুখ থাকতে পারে বাংলাদেশ ও মায়ানমার উপকূলের দিকে। ঝড়ের তাণ্ডব থেকে মানুষজনকে বাঁচাতে ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ সহ পশ্চিমবঙ্গেও গাঙ্গেয় জেলাগুলিতে চলছিল চূড়ান্ত প্রশাসনিক তৎপরতা। বহু এলাকায় কন্ট্রোল রুমও খোলা হয়েছিল। কিন্তু, চলতি সপ্তাহে বাংলায় তাপমাত্রার পারদ এতটাই চড়েছে যে, একটু ঝড়বৃষ্টির জন্য হাপিত্যেশ করে বসে আছে আমজনতা। গরমে নাজেহাল অবস্থা দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে, প্রবল দাবদাহের অস্বস্তি পৌঁছেছে চরমে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেড়ে গেল কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। বৃহস্পতিবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছে যেতে পারে ৪০ ডিগ্রির কাছাকাছি। দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি, স্বাভাবিকের থেকে যা প্রায় ২ ডিগ্রি বেশি।