হতাশ ডাক্তাররা। স্বাস্থ্য ভবনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে কার্যত হতাশ হয়ে আরও বড় আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিলেন চিকিৎসকরা।
হতাশ ডাক্তাররা। স্বাস্থ্য ভবনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে কার্যত হতাশ হয়ে আরও বড় আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিলেন চিকিৎসকরা।
প্রসঙ্গত বুধবার, আর জি কর (RG Kar) মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের চিকিৎসকরা সল্টলেকের সিবিআই দফতর থেকে স্বাস্থ্য ভবন পর্যন্ত মিছিলের ডাক দেন। আর এই মিছিলকে কেন্দ্র করে সকাল ১১টা থেকেই সিবিআই দফতরের সামনে জমায়েত করতে শুরু করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।
শুধুমাত্র তারাই নন, বহু সিনিয়র চিকিৎসকও এদিন এই মিছিলে যোগ দেন। ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের ডাকা এই কর্মসূচিকে সমর্থন জানায় জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস সংগঠনও। এদিন মিছিলে আন্দোলনকারীদের হাতে ছিল পোস্টার এবং ব্যানার। সেই পোস্টারে লেখা ছিল ‘বিচার চাই’। বহু চিকিৎসক পড়ুয়ারাও এদিন এই মিছিলে যোগ দেওয়ার জন্য সিজিও কমপ্লেক্সের বাইরে ভিড় করেন।
উল্লেখ্য, সন্দীপ ঘোষকে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর, সেই জায়গায় আসেন ডাঃ সুহৃতা পাল। কিন্তু আর জি করের আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা দাবি করেছেন, এখনও পর্যন্ত সুহৃতাদেবীকে হাসপাতালেই দেখা যায়নি। তাই বুধবারের মিছিলে আন্দোলনকারীদের হাতে ‘নিখোঁজ অধ্যক্ষ’লেখা পোস্টারও দেখা গেছে।
এরপর মিছিল স্বাস্থ্য ভবনে পৌঁছনোর পর আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলতে ভিতরে যায় চিকিৎসকদের একটি প্রতিনিধি দল। সেই প্রতিনিধি দল ভিতরে ঢুকে যাওয়ার পর, বাকি চিকিৎসকরা স্বাস্থ্য ভবনের বাইরেই অবস্থানে বসেন।
আরও পড়ুনঃ
মৃতদেহ নিয়ে ব্যবসা করতেন সন্দীপ ঘোষ? আর জি কর হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য
কিন্তু স্বাস্থ্য ভবন থেকে বেরোনোর পর আন্দোলনকারীরা স্পষ্ট জানান, সেই বৈঠক একেবারেই ইতিবাচক হয়নি। ডাঃ সন্দীপ ঘোষের বদলির সিদ্ধান্ত বাতিল সহ মোট চার দফা দাবি নিয়ে স্বাস্থ্য ভবনের আধিকারিকদের কাছে ডেপুটেশন জমা দেন তারা।
কিন্তু সেই দাবি মানতে রীতিমতো গড়িমসি করছে স্বাস্থ্য দফতর, এমনটাই অভিযোগ তুলছেন চিকিৎসকরা। স্বাস্থ্য ভবন থেকে বেরিয়ে তারা বলেন, “আমরা হতাশ। প্রথম দিন থেকে স্বাস্থ্য ভবনের কাছে নির্দিষ্ট কয়েকটি দাবি আমরা জানিয়ে আসছি। এখানে আমরা বিচার চাইতে আসিনি। আদালতের নির্দেশে সেই তদন্ত চলছে। বৃহস্পতিবার, সিবিআইকে উত্তর দিতে বলেছে। তবে আমরা স্বাস্থ্য ভবনে এসেছিলাম কিছু নির্দিষ্ট দাবি নিয়ে।”
তাদের কথায়, “আমরা এক ঘণ্টা সময় দিয়েছিলাম। কিন্তু ওনারা মৌখিক ভাবে জানিয়েছেন যে, বিষয়টা ভেবে দেখবেন। আমরা কোনও আশ্বাস পাইনি। তাই আমরা এই আন্দোলন চালিয়ে নিয়ে যাব।”
আরও পড়ুনঃ
কোথায়! আর জি কর কাণ্ডের পর থেকেই উধাও দুই পিজিটি, চিকিৎসক হত্যা রহস্যে নয়া মোড়?
উল্লেখ্য, আদালতের হস্তক্ষেপের পর সন্দীপ ঘোষ আপাতত ছুটিতে রয়েছেন। সেইসঙ্গে, আর জি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের সময়ে হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদেরও অপসারণের দাবি জানানো হয়েছে। অন্যদিকে, গত ১৪ অগাস্ট রাতে আর জি করে ভাঙচুরের ঘটনাটিও বুধবারের বৈঠকে উঠে আসে। সেইদিন হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদেরও অপসারণের দাবি তোলা হয়েছে বলে জানা গেছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।