আরজি কাণ্ডের আঁচ পড়তে পারে দুর্গা পুজোর মণ্ডপে , পুজো কমিটিগুলির ভরসা এই ব্যবস্থায়

আরজি আন্দোলনের আবহেই এবার হচ্ছে দুর্গা পুজো। পুজোর মণ্ডপে প্রত্যেকবারের মতই থাকবে অত্যাধিক ভিড়। তাই বিশৃঙ্খলা উড়িয়ে দিচ্ছে না পুজো কমিটি

বুধবার পুলিশের সঙ্গে পুজো কমিটির বৈঠক হয়। সেই বৈঠকেই উদ্যোক্তরা মণ্ডপের নিরাপত্তা আর বিশৃঙ্খলা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

আরজি কর- প্রসঙ্গে টেনে মণ্ডপে ঝামেলা হতে পারে। মণ্ডলে মিছিল করে প্রচুর মানুষ ঢুকে পড়তে পারে। এই আশঙ্কার কথাই প্রকাশ পেয়েছে।

এই অবস্থায় পুজো কমিটিগুলি রাজ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর অধিক আশ্বাস না রেখে নিজস্ব নিরাপত্তায় জোর দিতে চাইছে।

দুর্গা পুজোয় নিরাপত্তা নিয়ে কলকাতা ও রাজ্য পুলিশ রাজ্যের সমস্ত দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে নিরাপত্তার ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে তারা তৈরি থাকবে বলেও জানিয়েছে।

কলকাতার বড় পুজো কমিটিগুলি পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখার পাশাপাশি নিজস্ব নিরাপত্তা রক্ষী মোতায়ের করতে পারে। পুজোর দিনগুলিতে মণ্ডপ বা এলাকায় বিশৃঙ্খলা চায় না পুজো কমিটিগুলি।

কলকাতার উত্তর থেকে দক্ষিণের সেরা বা বড় পুজো কমিটিগুলি পুজোর দিনগুলিতে নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর ভরসা রাখছে।

সূত্রের খবর একেকটি পুজো কমিটির ৩০-৫০ জন নিরাপত্তার রক্ষী মোতায়েন করছে। ভিড় সামলানোর পাশাপাশি বিশৃঙ্খলা বন্ধ করাও এদের দায়িত্বে থাকবে।

পুজোর আরজি কর আন্দোলনের আঁচ পড়তে পারে আশঙ্কা করছেন অনেকেই। যদিও পুজো কমিটিগুলি তেমন গুরুত্ব দিতে নারাজ।

পুজোতেও জুনিয়র ডাক্তাররা একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়েছেন। মহালায়ার ভোর দখলের পাশপাশি অষ্টমীর রাত দখলের কথা জানিয়েছেন। অন্যদিকে ১ অক্টোবর ডাক্তারদের সংগঠন ও ৫৫টি সামাজিক সংগঠন কলকাতায় ১ লক্ষ্য মানুষের মিছিল করার আহ্বান জানিয়েছেন।