আরজি করের নির্যতিতার গোপনাঙ্গের পাশে ভাঙা ক্লিপ কেন? সুরতহাল রিপোর্ট দেখে মাথায় হাত সিবিআই-এর

আরজি কর তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই যেন রহস্যের ঘনঘটা। কারণ সিবিআই সূত্রের খবর ময়না তদন্তের মত সুরতহাল রিপোর্টেও রয়েছে প্রচুর খামতি।

 

Saborni Mitra | Published : Sep 27, 2024 5:46 AM IST
112
সিবিআই কর্তার কথায়

আরজি কর তদন্তে যুক্ত থাকা এক সিবিআই কর্তার কথায় তিনি তাঁর ২৫ বছরের চাকরি জীবনে এমন খামিতেতে ভরা ময়না তদন্ত আর সুরতহাল রিপোর্ট দেখেননি।

212
ময়না তদন্ত আর সুরতহাল রিপোর্টের সময়বিধি

আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক খুন ও ধর্ষণের মত মর্মস্পর্শী ঘটনায় মাত্র ২০ মিনিটের সুরতহাল রিপোর্ট ও ১ ঘণ্টা ১০ মিনিটের ময়না তদন্তের রিপোর্ট তাদের হাতে রয়েছে। কিন্তু ধর্ষণ ও খুনের তদন্তে এই দুটি সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ আদালতগ্রাহ্য প্রমাণ।

312
দুটি রিপোর্টেই ধোঁয়াশা

সিবিআই মনে করেছে দুটি রিপোর্টেই ধোঁয়াশা রয়েছে। দুটি রিপোর্টই অত্যন্ত ত্রুটিপূর্ণ। দুটি রিপোর্টে প্রচুর ফাঁক ফোরক রয়েছে। সেই ফাঁক দিয়ে অপরাধীদের ধরতে পারাটা তাদের কাছে আরও বেশি চ্যালেঞ্জের।

412
সুরতহাল রিপোর্ট

ঘটনার পরই সুরতহাল রিপোর্ট করা হয় ময়নাতদন্তের আগে একজন বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট মৃতদেগ পর্যবেক্ষণ করে রিপোর্ট তৈরি করেন। সেটাই সুরতহাল বা ইনকোয়েস্ট রিপোর্ট।

512
সুরতহাল রিপোর্টের গুরুত্ব

ম্যাজিস্ট্রেট মৃতদেহের ক্ষতচিহ্ন, মৃতদেহ পড়ে থাকার ধরন দেখে একটি রিপোর্ট তৈরি করেন। সেটির ভিত্তিতে ময়না তদন্ত করা হয়। সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করতে সাধারণত ১ থেকে দেড় ঘণ্টা সময় লাগে।

612
আরজি করে কেন সময় কম লাগল

সিবিআই দাবি করেছে আরজি কর কাণ্ডে সুরতহাল রিপোর্ট করা হয়েছে মাত্র ২০ মিনিটে। কিন্তু করে এত কম সময় পরীক্ষা করা হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তদন্তকারীরা।

712
২০ মিনিটে রিপোর্ট

সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়েছে, রিপোর্টে বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট লিখেছেন তিনি বিকেল ৪টে ২০ থেকে ৪টে ৪০ মিনিট পর্যন্ত মৃতদেহ পর্যবেক্ষণ করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেছেন।

812
দেহ খুঁটিয়ে দেখা নিয়ে প্রশ্ন

সিবিআই- তদন্তকারীদের অনুমান আরজি করের নির্যাতিতার মৃতদেহ উল্টে পর্যন্ত দেখা হয়নি সুরতহাল রিপোর্ট করার সময়। শরীরে কোথায় কোথায় ক্ষত চিহ্ন রয়েছে তাও সঠিকভাবে উল্লেখ নেই রিপোর্টে।

912
রিপোর্ট অস্পষ্ট

সিবিআই সূত্রের খবর, রিপোর্টে বলা হয়েছে বাঁ পায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কিন্তু সেই আঘাতের চিহ্ন কোথায়- পায়ের পাতায় না হাঁটুর ওপরে বা নিচে তার কোনও উল্লেখ নেই।

1012
রিপোর্টে খামতি

কোথা থেকে কী ধরনের রক্তপাত হয়েছে তার উল্লেখ নেই। দেহের পিছনে কোনও আঘাত ছিল কিনা তার উল্লেখ নেই। রিপোর্ট দেখলেই বোধা যায় দায়সারাভাবে করা হয়েছে।

1112
গোপনাঙ্গের রিপোর্টেও গাফিলতি

রিপোর্টে মৃতদেহের গোপনাঙ্গে রক্তের কথা রয়েছে কিন্তু রক্তপাতের কারণ ব্যাখ্যা করা হয়নি বলে তদন্তকারীদের সূত্রে জানা যাচ্ছে। ধর্ষণের মত ঘটনার ক্ষেত্রে এই রিপোর্ট গুরুত্বপূর্ণ।

1212
ভাঙা ক্লিপ ও পোশাকের রহস্য

গোপনাঙ্গের পাশে একটি ভাঙা ‘হেয়ার ক্লিপ’ পাওয়া গিয়েছে, বলা হয়েছে। কিন্তু তা কতটা দূরে, সেই তথ্য অস্পষ্ট বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, মৃতার পোশাকের বিষয়টিও স্পষ্ট ভাবে বলা নেই। সুরতহালের সময় যারা সাক্ষী ছিল তাদের বয়ানের উল্লেখ নেই।

Share this Photo Gallery
click me!

Latest Videos

Recommended Photos