
সন্দেশখালি ইস্যুতে এবার কড়া নিদান কলকাতা হাইকোর্টের। বিরোধী দলগুলি ইতিমধ্যেই এই ইস্যু নিয়ে তোলপাড় করছে রাজ্য রাজনীতি। এবার কড়া হল কলকাতা হাইকোর্টও। সন্দেশখালি মামলায় শেখ শাহজাহানের নাম যুক্ত করতে আদেশ জারি করলেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। একই সঙ্গে আদালত জানিয়েছে রাজ্য পুলিশ ছাড়াও সিবিআই এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) শাহজাহান শেখকে গ্রেপ্তার করতে পারে।
কী বলল আদালত?
বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট ২৬ ফেব্রুয়ারি জারি করা আদেশের বিষয়ে স্পষ্ট করে দিল। আদালত বলেছে, শেখ শাহজাহানকে গ্রেপ্তার করতে সিবিআই এবং ইডিও স্বাধীন। জেনে রাখা ভালো যে এর আগে, ৭ ফেব্রুয়ারির আদেশে, আদালত শুধুমাত্র ইডি অফিসারদের উপর হামলার তদন্তের জন্য একটি একক বেঞ্চ দ্বারা সিবিআই এবং রাজ্য পুলিশের একটি যৌথ বিশেষ তদন্ত দল (এসআইটি) গঠন নিষিদ্ধ করেছিল। তবে ডিভিশন বেঞ্চ দেখেছে যে শেখ দীর্ঘদিন ধরে পলাতক, তাই এবার তাকে গ্রেফতার করার ক্ষমতা দেওয়া হল ইডি এবং সিবিআইকেও।
হাইকোর্টের আগের আদেশ কী ছিল?
রাজ্য চলা তোলপাড়ের মধ্যেই কড়া নির্দেশ জারি করে কলকাতা হাইকোর্ট। সন্দেশখালি মামলায় শেখ শাহজাহানের নাম যুক্ত করতে আদেশ জারি করেছিলেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। এ বিষয়েও জনগণকে তথ্য দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে আদালত। প্রধান বিচারপতি বলেছেন, সন্দেশখালি মামলায় কোনো স্থগিতাদেশ নেই এবং শেখ শাহজাহানকে গ্রেপ্তার না করার কোনো কারণ নেই।
প্রধান বিচারপতির এজলাসে ইডি আশঙ্কাপ্রকাশ করে, 'পুলিশকে তদন্তভার দেওয়া হলে তথ্যপ্রমাণ বিকৃত করবে। রাজ্য পুলিশ গ্রেফতার করলে লঘু ধারায় মামলা হবে। তাতে শেখ শাহজাহানের জামিনের সুবিধা হবে' । সেই সঙ্গে ইডি জানায়, সিবিআই গ্রেফতার করলে কোনও অসুবিধা নেই।
শেখ শাহজাহান কে?
শেখ শাহজাহান সন্দেশখালিতে মহিলাদের ওপর যৌন নিপীড়ন ও জমি দখলের মামলার প্রধান অভিযুক্ত এবং রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের একজন নেতা। ৫ জানুয়ারী, রাজ্যের রেশন বন্টন কেলেঙ্কারির তদন্তের জন্য শাহজাহান শেখের বাড়িতে অভিযান চালাতে গেলে সন্দেশখালিতে প্রায় এক হাজার মানুষ ইডি কর্মকর্তাদের উপর আক্রমণ করেছিল।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।