বর্তমানে দুই মন্ত্রীর বাড়িতেই অভিযান চলছে। যে দুই মন্ত্রীর বাড়িতে ইডি টিম অভিযান চালিয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে দমকলমন্ত্রী সুজিত বোস এবং তাপস রায়।
গত সপ্তাহে সন্দেশখালিতে ইডি দলের উপর হামলার পর থেকেই আরও বেশি যেন সক্রিয় তদন্তকারী সংস্থা। এদিকে, শুক্রবার সকালে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দল আবারও বাংলায় বড় ধরনের অভিযান চালিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের দুই মন্ত্রীর বাড়িতে অভিযান চালায়। বর্তমানে দুই মন্ত্রীর বাড়িতেই অভিযান চলছে। যে দুই মন্ত্রীর বাড়িতে ইডি টিম অভিযান চালিয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে দমকলমন্ত্রী সুজিত বোস এবং তাপস রায়।
পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দল অভিযান চালিয়েছে। দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর দুটি বাড়ি এবং মন্ত্রী তাপস রায়ের বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে ইডি আধিকারিকদের দল। এগুলি ছাড়াও পুরসভার প্রাক্তন সহ-সভাপতির বাড়িতেও অভিযান চালাচ্ছে ইডি। জানা গিয়েছে, তৃণমূল পরিচালিত উত্তর দমদম পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান সুবোধ চক্রবর্তীর বাড়িতে হানা দিয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। বিরাটির খলিসাকোটার বাড়িতে চলছে তল্লাশি।
ইডি-কে দেখে প্রথমে বাধা দেন দমকলমন্ত্রীর কেয়ারটেকার, কর্মচারীরা। ওয়ারেন্ট থাকা সত্ত্বেও কেন বাধা দিচ্ছেন? প্রশ্ন তোলেন তদন্তকারীরা। বাদানুবাদ, ইডি-র উষ্মাপ্রকাশের পরেই খোলে দরজা।
গত শুক্রবার ইডি টিমের ওপর হামলা হয়
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার অর্থাৎ ৫ জানুয়ারি উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় ইডি টিম যখন রেশন কেলেঙ্কারির মামলায় সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে অভিযান চালাতে গিয়েছিল তখন হামলা হয়েছিল। এ সময় একদল গ্রামবাসী দলটির ওপর হামলা চালায়। সেই সঙ্গে সিআরপিএফ জওয়ানদের গাড়িকেও টার্গেট করে জনতা।
এই হামলায় তিন ইডি অফিসার গুরুতর আহত হন। এই হামলার পর তদন্ত সংস্থার ভারপ্রাপ্ত পরিচালক রাহুল নবীন কলকাতায় পৌঁছে আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এসময় তিনি কর্মকর্তাদের ভয় না পেয়ে নির্ভয়ে তদন্ত করতে বলেন। সূত্রের খবর, ইডি-র ভারপ্রাপ্ত ডিরেক্টর অফিসারদের এনআইএ-র সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতেও বলেছিলেন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।