আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ-খুনের ঘটনার পরও এই ভয়ঙ্কর কাজে মেতেছিলেন সন্দীপ! মারাত্মক তথ্য পেল CBI
৮ আগস্ট রাতে আরজি কর হাসপাতালের চার দেওয়ালের মধ্যে ঠিক কী ঘটেছিল? এখন এই প্রশ্নের উত্তরই খুঁজছে সকলে। চিকিৎসক ধর্ষণ, খুনের ঘটনার রহস্যভেদ করতে জোরকদমে তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। মামলা গিয়ে পৌঁছেছে সুপ্রিম কোর্টে। এরই মধ্যে মারাত্মক তথ্য পেল সিবিআই।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় দেশজুড়ে তোলপাড়।
হাসপাতালে দুর্নীতির ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে। হাসপাতালে এমন ভয়াবহ ঘটনা ঘটার পরেও নাকি সন্দীপ দমে যাননি।
সিবিআই সূত্রে খবর, নিও নেটাল কেয়ার ইউনিটের ইনজেকশন অ্যাম্পিউলের বরাত নিজের লোককে পাইয়ে দিতে শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়েছেন সন্দীপ ঘোষ।
অগাস্টের ৭ তারিখ তৎকালীন এমএসপিভি সঞ্জয় বশিষ্ঠের সই করা টেন্ডার নোটিস ইস্যু হয়।
নিও নেটাল কেয়ার ইউনিটের জন্য ইনজেকশন অ্যাম্পিউলের জন্য টেন্ডার ডাকা হয়। জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল ১৪ অগাস্ট ২০২৪।
ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পরেও এই বরাত পাইয়ে দিতে বিপ্লব সিংহের মধ্যস্থতায় এক ওষুধ সরবরাহকারীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে গিয়েছিলেন সন্দীপ, চাঞ্চল্যকর দাবি সিবিআইয়ের।
অচলাবস্থার সুযোগ নিয়ে চুপিসারে এই টেন্ডারও নিজের লোককে পাইয়ে দিয়ে মুনাফা পেতে পিছু হঠেনি সন্দীপ, দাবি সিবিআইয়ের।
এই টেন্ডার সম্পর্কে খোঁজ নিচ্ছে সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখার তদন্তকারী অফিসারেরা। ইতিমধ্যে সঞ্জয় বশিষ্ঠকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
বর্তমান এমএসভিপির সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায়ের থেকেও খোঁজ নিচ্ছে সিবিআই।
সিবিআইয়ের দাবি, ঘটনার পর এই টেন্ডার ক্লোজ করে দেওয়া উচিত ছিল। ক্লোজ না করে নেক্সাস চালিয়ে গিয়েছেন সন্দীপ।