Kolkata Rape Marder Case: কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এক মহিলা চিকিৎসকের বিরুদ্ধে নৃশংসতার একটি বড় ঘটনা সামনে এসেছে। আরজি কর তদন্ত কমিটি তাদের রিপোর্ট আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের বর্তমান অধ্যক্ষের কাছে জমা দিয়েছে।
আরজি কর তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে হুমকি সংস্কৃতির বা থ্রেট কালচারের কথা উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ৫৯ জনের মধ্যে ৪০ জনের বিরুদ্ধে থ্রেট কালচারের প্রমাণ পাওয়া গেছে। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে IMA-এর বেঙ্গল শাখা। IMA-এর বেঙ্গল শাখা বিরুপাক্ষ্য বিশ্বাসকে থ্রেট কালচার এবং অপরাধের দৃশ্যে উপস্থিতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সাসপেন্ড করেছে।
কলকাতায় ধর্ষণ নিয়ে তৈরি প্যান্ডেল-
পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার থিম অবলম্বনে দুর্গা পূজা প্যান্ডেল 'লজ্জা' তৈরি করা হয়েছে। জানিয়ে রাখি, এই ঘটনার জেরে দেশজুড়ে ক্ষোভ বিরাজ করছে। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি, অন্যান্য অনেক রাজ্যের মানুষও অবিলম্বে বিচারের দাবিতে রাস্তায় নামছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও গতি পাচ্ছে।
বিজেপির টার্গেট ছিল-
কলকাতা ধর্ষণ হত্যাকাণ্ডে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করে চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। অনেক বিজেপি নেতার অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্রমাগত ধর্ষণ-খুন মামলার দোষীদের বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) জাতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, 'কলকাতা ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় এফআইআর নথিভুক্ত করতে কেন ১৪ ঘন্টা দেরি হল? টিএমসি সরকার কোনও না কোনওভাবে তদন্তে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
কেন পুলিশের চার্জশিট থেকে পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট গায়েব? মুখ্যমন্ত্রী, তার প্রিয় কলকাতার পুলিশ কমিশনার এবং তৎকালীন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে রক্ষা করার জন্য, তদন্তে বাধা দেন এবং প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা করেছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও কলকাতার পুলিশ কমিশনারের পলিগ্রাফি টেস্ট হওয়া উচিত।