স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পড়িমড়ি করে বাইরে বেরিয়ে আসেন তাঁরা। বেশ কয়েকজন মানুষ এই আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান।
শনিবার ভোরে নিউটাউন এলাকার শাপুরজির সুখবৃষ্টি আবাসনের সামনে একের পর এক দোকানে আগুন লেগে যায়। আর সেই আগুনের দাপটে ভস্মীভূত হয়ে যায় দোকানগুলি। স্থানীয় সূত্রে খবর শনিবার ভোর রাতে আচমকা ঘুম ভেঙে যায় নিউটাউনের বাসিন্দাদের। একের পর এক সিলিন্ডার ফাটার শব্দে ঘুম ভাঙে এলাকার মানুষজনের। আর আগুনের সেই লেলিহান শিখা দেখে চমকে ওঠেন তাঁরা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পড়িমড়ি করে বাইরে বেরিয়ে আসেন তাঁরা। বেশ কয়েকজন মানুষ এই আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। তখন অবশ্য দমকল এসে পৌঁছয়নি। এই ঘটনা নিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রথমে দুটি দোকান জ্বলতে শুরু করে। তারপরে দমকলকে খবর দেওয়া হয়। দমকল এসে পৌঁছনোর আগেই দ্রুততার সঙ্গে আগুন ছড়িয়ে পড়ে অন্যান্য দোকানগুলিতে। বেশ কিছু দোকানে গ্যাস সিলিন্ডার থাকায় তা ফাটতে শুরু করে। আগুনও বাড়তে থাকে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন।
কিন্তু দমকল পৌঁছনোর আগেই পরপর ১৫টি দোকানে আগুন লেগে যায়। আর দমকল বাহিনী এসে দ্রুতগতিতে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেকটাই বেশি বলে অনুমান করা হচ্ছে। কারণ ওই দোকানগুলি থেকে সিলিন্ডার ফাটার শব্দ আসে এবং উড়ে যায় দোকানের ছাউনি। ফলে দোকানের মধ্যে থাকা জিনিস আর কিছুই অবশিষ্ট নেই বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, এদিন ভোর ৩টে নাগাদ প্রথম আগুন দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। এই আগুন ছড়িয়ে পড়ার অবস্থা দেখে সঙ্গে সঙ্গে দমকলে খবর দেওয়া হয়। দমকল সূত্রে খবর, ওইসব দোকানগুলির উপর দিয়ে হাইটেনশন তার গিয়েছে। আর একটি হাইটেনশন তার ছিড়ে দোকানের উপর পড়ে যাওয়ায় অগ্নিসংযোগ ঘটেছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় টেকনোসিটি থানার পুলিশ। ভোর রাতে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এলাকা চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
দিন কয়েক আগেই রবীন্দ্র সদন মেট্রো স্টেশনের কাছে এক্সাইড মোড়ের একটি টায়ারের শোরুমে ভয়াবহ আগুন লাগে। ঘটনাটি নজরে আসতেই খবর দেওয়া হয় দমকলে। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ছ'টি ইঞ্জিন। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা শুরু করে উদ্ধারকারী দল। কী ভাবে আগুন লাগল সেবিষয় স্পষ্টভাবে কিছু জানানো হয়নি। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয় যে শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে।
সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ আগুন নজরে আসে স্থানীয়দের। তড়িঘড়ি দমকলে খবর দেন শোরুমের কর্মচারিরা। মুহূর্তের মধ্যে কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। খবর পাওয়া মাত্রই দমকলের বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও ঘিঞ্জি এলাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় উদ্ধারকারী দলকে।