সেলের মধ্যে বসে হাউ হাউ করে কাঁদলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়! কারণ শুনে থ হয়ে গেলেন নিরাপত্তারক্ষীরা

২২ জুলাই নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে ইডির হাতে গ্রেফতার হন তিনি। একই সময় তার বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে দু’দফায় প্রায় ৫১ কোটি টাকা সহ কেজি কেজি সোনার গয়না বাজেয়াপ্ত করেছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সেই থেকেই জেলবন্দি পার্থ-অর্পিতা।

Parna Sengupta | Published : Apr 10, 2024 8:49 AM IST

গতবারের লোকসভা নির্বাচনের সময়ও জেলায় জেলায় ঘুরে ঘুরে প্রচার করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তখন তাঁর দাপটে বাঘে গরুতে একঘাটে জল খেত। আর ২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর জুলাই মাসে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এরপর একাধিকবার জামিনের আর্জি করা হলেও তাঁকে জেলেই কাটাতে হয়েছে। তাঁর জেল যাত্রার পর এই প্রথম কোনও বড় আকারের নির্বাচন সংগঠিত হচ্ছে। কিন্তু সেখানে কোথাও নেই তিনি।

২২ জুলাই নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে ইডির হাতে গ্রেফতার হন তিনি। একই সময় তার বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে দু’দফায় প্রায় ৫১ কোটি টাকা সহ কেজি কেজি সোনার গয়না বাজেয়াপ্ত করেছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সেই থেকেই জেলবন্দি পার্থ-অর্পিতা। যদিও দুজনেই বহুবার নিজেদের নিরপরাধ বলে দাবি করেছেন তারা। তবে লাভ বিশেষ হয়নি।

এবার সামনে এল আরেক খবর। আচমকা নাকি নিজের সেলের ভিতরে বসে হাউ হাউ করে কেঁদে উঠলেন পার্থ। কিন্তু কেন! জানা গিয়েছে সেই ২০২২ সালের জুলাই মাস থেকে নিয়োগ দুর্নীতির দায়ে জেলবন্দি পার্থ। মাঝে কেটে গিয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। সামনে লোকসভা নির্বাচন। এহেন অবস্থায় জেলে আর একটুও ভালো লাগছে না! এবার কান্নায় ভেঙে পড়লেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

‘জেলের ভেতর থাকতে আমার আর একদণ্ড ভালো লাগছে না।’ চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করেন তিনি। জেল সূত্রে খবর, গত রবিবার সন্ধ্যার দিকে আচমকা প্রাক্তন মন্ত্রীর সেল থেকে কান্নার শব্দ শুনতে পান কয়েকজন কারারক্ষী। তৎক্ষণাৎ তারা সেখানে ছুটে যান। গিয়ে দেখেন পার্থবাবু কাঁদছেন। তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, ‘আপনার কি কিছু হয়েছে?’ চোখের জল মুছতে মুছতে পার্থ বলেন, ‘আর একদণ্ড এখানে থাকতে আমার ভালো লাগছে না। এখানে আমি হাঁপিয়ে উঠছি।’

জেল সূত্রে খবর, সারাক্ষন একাই থেকেই পার্থ। কারও সঙ্গে কথাটুকুও বলেন না। বই পড়া, হাঁটাচলা, খানিক সময় খবরের কাগজে চোখ বোলানো এসব করেই দিন কাটে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর। সংশোধনাগার থেকে রাতের খাবারে সাধারণত রুটি, ডাল আর সবজি দেওয়া হয়। এদিন কোনোরকমে একটি রুটি আর ডাল খেয়ে শুয়ে পড়েন পার্থ। চোখের কোনায় তখনও জল। কারারক্ষীরা তাকে বোঝানোর অনেক চেষ্টা করেন। বলেন, ‘আপনি শান্ত হোন।’

আরও খবরের জন্য এশিয়ানেট নিউজ বাংলা হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে চোখ রাখুন, এখানে ক্লিক করুন।

Read more Articles on
Share this article
click me!