সন্ধ্যাবেলায় বৃষ্টিপাতের সময় সুভাষ অধিকারী নামে ৩৭ বছরে একট ব্যক্তি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায়।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে স্ব্স্তির বৃষ্টি কলকাতায়। আলিপুর হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী সোমবার সন্ধ্যে থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় আকাশ কালো করে ঝড় ও বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। তাপমাত্রার পারদ কিছুটা নেমে যায়। স্বস্তি ফিরে পায় রাজ্যের বিশেষত দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দারা। কিন্তু স্বস্তির বৃষ্টির মধ্য়েও অস্তস্তির কাঁটা তড়িদাহত হয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু।
এদিন সন্ধ্যাবেলায় বৃষ্টিপাতের সময় সুভাষ অধিকারী নামে ৩৭ বছরে একট ব্যক্তি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায়। পরিবার জানিয়েছে, তাঁর হাতে ছিল লাঠির একটি ঝাড়ু। সেটি নিয়ে নর্দমার জমা পাতা সরাচ্ছিলেন। বৃষ্টির মধ্যেই কাজ করছিলেন। কিন্তু খোলা বিদ্যুতের তারে তার ঝাড়ু লেগে যায়। পরিবারের সদস্যরা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
এদিন কলকাতা সহ রাজ্যের প্রায় সব জেলাতেই ঝড় বৃষ্টি হয়। মঙ্গলবারও ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিস। বুধবার বৃষ্টি আরও বাড়তে পারে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিস। বুধবার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বৃষ্টি হবে। সঙ্গে ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে।
এদিন বৃষ্টির কারণে কলকাতায় যান চলাচলের গতি ছিল অনেকটাই শ্লথ। ধর্মতলা, বাইপাস, শ্যামবাজার, কলেজস্ট্রিট-সহ একাধিক এলাকায় যানজট তৈরি হয়েছিল। ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে জানান হয়েছিল বড় যানজট নেই। কি্ন্তু বৃষ্টির কারণে গাড়ি ধীর গতিতে চলচাল করছে। বৃষ্টির কারণে হাওড়া ও শিয়ালদা শাখায় ট্রেন চলচলেও সমস্যা দেখা দেয়।
বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ার দাপটে দক্ষিণবঙ্গের কিছুু জায়গায় গাছ ভেঙে পড়েছে। বিদ্যুৎ বিভ্রাটও দেখা যাচ্ছে। মঙ্গলবারও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি ও ঝোড়ো বাতাসের পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে বৈশাখের শেষদিকে তাপপ্রবাহের হাত থেকে রেহাই পেতে চলেছেন দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দারা। বৃষ্টির কারণে কলকাতার তাপমাত্রা অনেকটাই নিম্মগামী। মঙ্গলবার কলকাতার তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশেই থাকবে।