আরজি করের নির্যাতিতার শরীরে আর কার DNA? নির্দেশনামায় উত্তর দিলেন বিচারক

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসক খুন ও ধর্ষণকাণ্ডে বিচার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরেই রয়েছে গেছে অনেক প্রশ্ন। তার কিছু প্রশ্নের উত্তর দিল বিচারকের নির্দেশনামা।

আরজি করের নির্যাতিতার দেহ থেকে সঞ্জয় রায় ছাড়াও আরও একজনের ডিএনএ পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু সেটি মহিলার।

ময়নাতদন্তের এই রিপোর্ট নিয়ে জলঘোলা হয়েছিল। প্রশ্ন উঠেছিল কে সেই মহিলা। অনেকেই বলেছিলেন সঞ্জয়ের সঙ্গে দুষ্মকর্মে জড়িত ছিল এক মহিলা।

আরজি কর হত্যাকাণ্ডের ১৭২ পাতার নির্দেশখানা দিয়েছে শিয়ালদহ আদালত। সেখানেও রয়েছে ডিএনএ প্রসঙ্গ।

নির্দেশনামায় বিচারক লিখেছেন, 'নির্যাতিতার শরীরে ১০০ শতাংশ মাত্রায় সঞ্জয়ের ডিএনএ মিলেছে। সঙ্গে সামান্য মাত্রায় পাওয়া গিয়েছে আর এক মহিলার ক্রোমোজ়োম।'

বিচারক ধর্ষণকাণ্ডে অন্য কেউ থাকার দাবি খারিজ করে দিয়েছেন। লিখেছেন, 'ময়নাতদন্তের ভিডিয়ো ফুটেজ খতিয়ে দেখে জানা গিয়েছে, ময়নাতদন্ত চলাকালীন গাফিলতির কারণেই এই বিপত্তি।'

অপরাধে আরও কারও জড়িত থাকার জল্পনার বিপক্ষে শুরু থেকেই সিবিআইয়ের যুক্তি ছিল, ময়নাতদন্তের সময় সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের গাফিলতিতে কোনও ভাবে ওই ডিএনএ সংক্রামিত হয়ে থাকতে পারে। তাতেই মান্যতা দিয়েছেন বিচারক।

নির্দেশনামায় বলা হয়েছে, ময়নাতদন্তের ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ময়নাতদন্ত কক্ষের মেঝেতে পড়ে রয়েছে আরও একাধিক দেহ। অভিযোগ, যে ট্রে-তে নির্যাতিতার দেহ রাখা হয়েছিল, সেটিও ভাল ভাবে জীবাণুমুক্ত করা হয়নি। তা ছাড়া, ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, ময়নাতদন্তের আলাদা আলাদা প্রক্রিয়ার আগে গ্লাভ্‌স কিংবা অ্যাপ্রন বদলাচ্ছেন না মর্গের ডোম। জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে না ছুরি, কাঁচিও।

ময়নাতদন্তের সময় নির্ধারিত প্রোটোকলগুলি আদৌ মেনে চলা হয়নি। তাঁর মতে, চিকিৎসকদের দোষে নয়, বরং পরিকাঠামোর অভাবেই এই বিপত্তি।

সোমবার আরজি কর হত্যাকাণ্ডে সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। যদিও সঞ্জয়ের আইনজীবী হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে।