পিতৃপক্ষের শেষের পর দেবীপক্ষের সূচনা। চারদিকে উৎসবমুখর পরিবেশ। তবে এবারের উৎসব যেন দ্রোগের উৎসব। এই উৎসব মুখরিত সময়েও সাধারণ মানুষ তিলোত্তমার কথা ভোলেনি। তাই বিচারের দাবিও উঠেছে দেবীপক্ষেও। কোথাও ভোর দখল কোথাও তিলোত্তমার প্রতি ন্যায়বিচার দাবীতে রাত দখলে মেতেছে শহরবাসী।
জোকা ইএসআই-এর জুনিয়র ডাক্তাররাও আরজি তৈরি করেছিলেন এবং তিলোত্তমা হত্যার নাটক তৈরি করেছিলেন। ডায়মন্ড হারবার রোড ধরে বেহালা থানার উল্টো দিকে। পথের সকলে সেই নাটক দেখল। শহরের প্রান্তরে প্রান্তরে অলিতে গলিতে চলেছে রাত দখল, পথ নাটক, রুবির মোড়ে রাস্তায় আঁকা হয়েছে প্রতিবাদের ছবি।
এদিন পূর্বপুরুষদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ভিড়ের মধ্যেও তিলোত্তমার বিচারের দাবি ওঠে। তিলোত্তমার আত্মার শান্তি কামনায় একদল মানুষ এই দিনে গণতর্পণ করেন। দেবীকে স্বাগত জানাতে সকাল থেকেই নারীরা হাতে প্ল্যাকার্ড হাতে ওড়না নিয়ে রাস্তায় বিক্ষোভ করছিলেন। শ্রীরামপুর বটতলা থেকে মিছিল শুরু হয়। শ্রীরামপুর তিন নম্বর ঘাটে গিয়ে শেষ হবে এই শোভাযাত্রা। এই প্রতিবাদ মিছিলে বিভিন্ন এলাকার মানুষ অংশ নেয়।
অন্যদিকে, মাতৃপক্ষের শুরুতে রাত বারোটার পর মশাল জ্বালিয়ে দেবীকে আমন্ত্রণ জানান মেদিনীপুর শহরের একদল মানুষ। তিলোত্তমার বিচারের দাবিতে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত বিক্ষোভ করেছে সাধারণ মানুষ। ইয়ুথ ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার রাজ্য সভাপতি মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ও সকালে তাদের দখলকৃত বিক্ষোভে হাজির হন। মেদিনীপুর শহরের মানুষ মশাল জ্বালিয়ে, পথনাটক, আদিবাসী নৃত্য, কবিতা, পাঠ, রাস্তার চিত্রাঙ্কন করে প্রতিবাদ জানায়। ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন আন্দোলনের মাধ্যমে রাজপথে থাকার অঙ্গীকার করেছেন নগরবাসী।