বিজেপির তরফে সব্যসাচীকে লোকসভার প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে বলে জনশ্রুতি। সেক্ষেত্রে দমদম বা বারাসত কেন্দ্রে প্রার্থী করা হতে পারে তাঁকে। যদিও এ নিয়ে কোনও তরফেই এখনও সরকারিভাবে এ নিয়ে মুখ খোলেনি।
বুধবার সল্টলেক সেক্টর ফাইভে বিজেপি দফতরে গিয়ে কেন্দ্রের শাসক দলে যোগ দিয়েছেন তাপস রায়। এরপর ফের কি ভাঙন দেখা দিতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস শিবিরে। কারণ এবার দল ছাড়ার তালিকায় নাম উঠে আসছে বিধাননগর পুরনিগমের চেয়ারম্যান তথা প্রাক্তন বিধায়ক সব্যসাচী দত্তের। তাপস রায়ের পথ ধরেই বিজেপিতে নাম লেখাতে পারেন সব্যসাচী। ইতিমধ্যেই গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে একপ্রস্ত কথাবার্তা হয়েছে তাঁর। বিজেপিতে নাম লেখালে কোন শর্তে যাবেন সব্যসাচী, সেটাও নাকি চূড়ান্ত হয়েছে।
বিজেপির তরফে সব্যসাচীকে লোকসভার প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে বলে জনশ্রুতি। সেক্ষেত্রে দমদম বা বারাসত কেন্দ্রে প্রার্থী করা হতে পারে তাঁকে। যদিও এ নিয়ে কোনও তরফেই এখনও সরকারিভাবে এ নিয়ে মুখ খোলেনি। এর আগেও মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন সব্যসাচী। ২০১৯ সালে দুর্গাপুজোর ঠিক আগে দলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। দায়িত্বও পেয়েছিলেন। তবে যোগদানের কিছুদিনের মধ্যেই বিজেপির প্রতি মোহভঙ্গ হয়। ২০২০ সালের মাঝামাঝি শুরু হয়েছিল সব্যসাচী দত্তের তৃণমূলে ফেরার জল্পনা। একুশের বিধানসভা ভোটের পর পুরনো দলে প্রত্যাবর্তন করেন তিনি।
কিন্তু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে তৃণমূলে যে দাপট সব্যসাচীর ছিল, প্রত্যাবর্তনের পর সেই দাপটের ধারেকাছে নেই। এমনকী বিধাননগর পুরনিগমের মেয়রের পদটিও দেওয়া হয়নি তাঁকে। যদিও যোগদানের জল্পনা নিজে উড়িয়ে দিচ্ছেন সব্যসাচী। তাঁর দাবি “এটা আমার চরিত্রহননের চেষ্টা। রাজনৈতিক স্বচ্ছ ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা। ডাহা মিথ্যে কথা বলা হচ্ছে। আমি কোথাও যাচ্ছি না। এসব খবর হলুদ সাংবাদিকতার পরিচয়। ভবিষ্যতে এসব রটনা হলে আমি আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব। বিজেপির থেকে টাকা নিয়ে এসব রটনা করা হচ্ছে।”
বুধবার এমনই এক জল্পনা ছড়ায় যে ফের বিজেপিতে 'ঘর ওয়াপসি' হচ্ছে সব্যসাচী দত্তের। কিন্তু সেই গুঞ্জনকে 'ডাহা মিথ্যে' বলে দাবি করলেন বিধাননগরের তৃণমূল নেতা।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।