৬ দিনের জন্য ইডি হেফাজতের মেয়াদ শেষে শনিবার ফের নগর দায়রা আদালতে তোলা হয় জীবনকৃষ্ণ সাহাকে। এদিন আদালতে জীবনকৃষ্ণের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার সময় উপস্থিতি ছিলেন জীবনকৃষ্ণ সাহার ছেলে, স্ত্রী ও তার মা। তবে শনিবার জীবনকৃষ্ণ সাহার জামিনের আবেদন করলেন না অভিযুক্তের আইনজীবী। ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জুডিশিয়াল কাস্টাডির নির্দেশ দেন বিচারক।
25
জীবন সাহার ইডি মামলা
শনিবার আদালতে ইডির আইনজীবী বলেন, ‘’আমরা ৬ দিনের হেফাজতে চেয়েছিলাম। ছয় দিনের হেফাজতের জিজ্ঞাসাবাদ করে যে প্রমাণ উঠে এসেছে সেই তথ্য প্রমাণ জমা দিয়েছি। আমরা ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ফের জীবনকৃষ্ণ সাহার জেল হেফাজতের আবেদন জানাচ্ছি। এরপরে যা তথ্য প্রমান পাব তা অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই উঠে আসবে ।''
35
কী বললেন অভিযুক্তের আইনজীবী?
এদিন আদালতে নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত জীবনকৃষ্ণ সাহার আইনজীবী জাকির হোসেন বলেন যে, ‘’আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে যা অভিযোগ করা হচ্ছে সেই সব তথ্য প্রমাণ কিছু নেই ওদের কাছে। আমরা চাইছি সাজা একটু কম হোক। ১৪ দিনের পরিবর্তে ১২ দিন করা হোক।''
একদিকে যখন অভিযুক্তের আইনজীবী চাইছেন তার মক্কেলের সাজা কম করে দেওয়া হোক। অন্যদিকে ছেলের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান জীবনকৃষ্ণের বাবার। জানা গিয়েছে, জীবনকৃষ্ণের বাবা বিশ্বনাথ সাহা জানিয়েছেন যে, ছেলে বিধায়ক হওয়ার পর নামে-বেনামে অনকে সম্পত্তি বানিয়েছে। তাই তিনি চান ছেলে জেলেই থাকুক। যদিও বাবার এই দাবি মানতে নারাজ জীবন। কেন তার বাবা এমন কথা বলছে সেই প্রশ্নে অবশ্য মুখে কুলুপ এঁটেছে জীবনকৃষ্ণ সাহা।
55
১৪ দিনের জেল হেফাজত জীবনকৃষ্ণের
এদিকে শনিবার আদালতে দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারক প্রশান্ত মুখোপাধ্যায় ইডির আইনজীবীর আবেদন মঞ্জুর করেন । অভিযুক্ত তৃণমূল বিধায়ককে ১২ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ শুক্রবার পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।