জোকা থেকে এসপ্লানেড পর্যন্ত পার্পেল লাইনে মেট্রো চালানোর প্রস্তুতি চলতে থাকলেও, সম্পূর্ণ লাইন এখনও নিশ্চিত করা যায়নি, ফলে আপাতত মেট্রো চালানো শুরু করা হচ্ছে জোকা থেকে তারাতলা পর্যন্ত।
বাংলায় প্রায় ১২ বছর ধরে চলেছে বেহালা মেট্রোর কাজ। জোকা থেকে এসপ্লানেড পর্যন্ত পার্পেল লাইনে মেট্রো চালানোর প্রস্তুতি চলতে থাকলেও, সম্পূর্ণ লাইন এখনও নিশ্চিত করা যায়নি, ফলে আপাতত মেট্রো চালানো শুরু করা হচ্ছে জোকা থেকে তারাতলা পর্যন্ত। গত ১০ নভেম্বর রেলের কমিশনার মহম্মদ লতিফ খান ও বাকি আধিকারিকরা জোকা থেকে তারাতলা পর্যন্ত মেট্রোর লাইন পরিদর্শন করেন। জোকা, শখের বাজার, বেহালা বাজার এবং তারাতলা স্টেশনের বিশেষ পরীক্ষানিরীক্ষাও করা হয়। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, যাত্রী সুরক্ষা নিশ্চিত করে নির্দিষ্ট গতিতেই চলবে ট্রেন। এবার রেলের তরফে নিশ্চিত করে ফেলা হয়েছে চূড়ান্ত দিনও।
ইতিমধ্যে মিলেছে কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির অনুমতি পত্র। ২৩ নভেম্বর, বুধবার মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছে যে, ডিসেম্বরের মধ্যে জোকা থেকে তারাতলা রুট মেট্রো চালানোর ক্ষেত্রে পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে যাবে। তাই এবার সরাসরি উদ্বোধনের জন্য তৈরি হচ্ছে জোকা-এসপ্ল্যানেড পার্পেল মেট্রো রুটের জোকা থেকে তারাতলার অংশ। মেট্রোর জেনারেল ম্যানেজার জানিয়েছেন, আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যেই জোকা থেকে তারাতলা অংশে চলাচলের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়ে যাবে মেট্রো। তবে, এখনই কোনও দিনকে নির্দিষ্ট হিসেবে জানানো হয়নি।
জোকা এবং তারাতলার মধ্যবর্তী সমস্ত স্টেশনে এখনও পর্যন্ত স্মার্টগেট বসানোর কাজ শেষ হয়নি বলে জানা গেছে। কিন্তু যাত্রা দ্রুত শুরু করার জন্য এবার চাপ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে বাণিজ্যিক পরিষেবা শুরু করার প্রথম দিকে যাত্রীদের জন্য কাগজের টিকিট ব্যবহার করা হতে পারে। এরপর মাঝের সমস্ত স্টেশনে স্মার্টগেট বসে গেলে স্মার্টকার্ড বা টোকেনের ব্যবস্থা করা হবে।
জোকা থেকে তারাতলার দূরত্ব প্রায় সাড়ে ৬ কিলোমিটার। এই লাইনে মোট ৬ টি স্টেশন রাখা হয়েছে, জোকা, ঠাকুরপুর, সখেরবাজার, বেহালা চৌরাস্তা, বেহালা বাজার এবং তারাতলা। অর্থাৎ প্রতিটি স্টেশনের দূরত্ব বেশ কম।
জোকা-তারাতলার মধ্যে কীভাবে মেট্রো চলবে, সেবিষয়ে মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, 'ওয়ান ট্রেন সিস্টেম' অনুযায়ী পরিষেবা চলবে। অর্থাৎ, শুরুর দিকে একটিই মেট্রো জোকা থেকে ছাড়বে। তারপর ওই ট্রেনটিই তারাতলা থেকে ঘুরে গিয়ে ফের জোকায় ফিরে আসবে। স্বাভাবিকভাবেই দুটি মেট্রোর সময়কালের মধ্যে ব্যবধান প্রথমদিকে অনেকটাই বেশি হবে। একটি মেট্রোয় উঠতে না পারলে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে যাত্রীদের। তবে, পরবর্তীকালে যাত্রীসংখ্যা বাড়তে থাকলে এই রুটে মেট্রো সংখ্যা বাড়ানো হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-
আবার দেখা দিয়েছে নিম্নচাপের ফাঁড়া, তার আগে বঙ্গে আজ মরশুমের শীতলতম দিন
পঞ্জাবে রাতের অন্ধকারে কারখানার কর্মীকে গণধর্ষণ, ৪ তরুণী মিলে মদ খাইয়ে অত্যাচার
হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির উপস্থিতিতে শপথ নিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, বিমান বসুকে এগিয়ে নিলেন মমতা