সংক্ষিপ্ত
৪ তরুণীই সম্ভ্রান্ত পরিবারের সদস্য বলে মনে হয়েছে তাঁর এবং নির্যাতনকারীরা প্রত্যেকেই নিজেদের মধ্যে ইংরেজি ভাষায় কথা বলছিলেন।
চার জন তরুণী মিলে এক যুবককে গণধর্ষণ। চাঞ্চল্যকর ঘটনায় স্তম্ভিত পঞ্জাব। রাতের অন্ধকারে গাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে জঙ্গলের মধ্যে তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে জানিয়েছেন নির্যাতিত যুবক।
২১ নভেম্বর সোমবার, এই ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্জাবের জলন্ধরে। অভিযোগকারী ব্যক্তি স্থানীয় একটি চামড়ার কারখানায় কাজ করেন বলে জানা গেছে। তাঁর অভিযোগ, চার জন তরুণী এক সাদা গাড়িতে করে এসে তাঁকে অপহরণ করে হাত পা বেঁধে জঙ্গলে তুলে নিয়ে যান। সেখানে ওই ৪ জন মিলেই তাঁর ওপর যৌন নির্যাতন চালিয়েছেন বলে অভিযোগ। নির্যাতনের আগে জোর করে তাঁকে মাদকাশক্ত করে এই কাজ করা হয় বলে জানিয়েছেন ওই শ্রমিক। ধর্ষণের পর সেই জঙ্গলেই নাকি তাঁকে ফেলে দিয়ে চলে যায় চার তরুণী। তবে, এই ঘটনাটি নির্যাতিত ব্যক্তি পুলিশে জানাননি বলে জানা গেছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন।
অভিযোগকারী যুবকের বক্তব্য, তিনি বিবাহিত এবং তাঁর একাধিক সন্তান রয়েছে। সোমবার রাতে তিনি যখন কারখানা থেকে কাজ করে বাড়ির পথে ফিরছিলেন তখন একটি সাদা গাড়িতে করে আসেন ৪ জন তরুণী। তাঁরাই তাঁকে আচমকা হাত পা বেঁধে তুলে নিয়ে চলে যান। নির্যাতিত ব্যক্তির দাবি, তাঁর চোখ, হাত এবং পা কাপড় দিয়ে বেঁধে রেখেছিল ওই চারজন। ৪ তরুণীই সম্ভ্রান্ত পরিবারের সদস্য বলে মনে হয়েছে তাঁর এবং নির্যাতনকারীরা প্রত্যেকেই নিজেদের মধ্যে ইংরেজি ভাষায় কথা বলছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি। যদিও, তাঁর দাবি, তাঁর সঙ্গে কথা বলার সময় সকলে স্থানীয় পঞ্জাবি ভাষাতেই কথা বলছিল।
অভিযোগকারী যুবকের বক্তব্য, সোমবার তিনি চামড়া কারখানা থেকে ফিরছিলেন পঞ্জাবের কপুরথালা রোড দিয়ে। সেই সময় হঠাতই তাঁর সামনে একটি সাদা রঙের গাড়ি এসে দাঁড়ায়। চালকের আসনে ছিলেন এক তরুণী এবং গাড়ির ভেতরে ছিলেন আরও ৩ জন। একটি ঠিকানা লেখা কাগজ তাঁর হাতে দিয়ে তাঁকে রাস্তা দেখানোর আবেদন করেন চার তরুণী। তিনি কাগজটি ভালোভাবে দেখার জন্য ঝুঁকে পড়েন এবং মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে তাঁকে দ্বিতীয়বার ডেকে তাঁর চোখে মুখে অসচেতন করার বিশেষ কোনও স্প্রে চালিয়ে দেয় তরুণীরা। এরপরই জোর করে ওই ব্যক্তিকে গাড়িতে তুলে নেওয়া হয়। মাঝ রাস্তায় গাড়ির মধ্যেই যখন ওই যুবকের জ্ঞান আসে, তখন তিনি বুঝতে পারেন, তাঁর হাত পা এবং চোখ বাঁধা অবস্থায় রয়েছে। গাড়িতে থাকা প্রত্যেক তরুণীই মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন বলে তাঁর দাবি। তরুণীরা চেপে ধরে তাঁকেও জোর করে মদ খাইয়েছিলেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তিনি। সারা রাত ধরে অত্যাচারের পর ওই জঙ্গলেই তাঁকে ফেলে রেখে পালিয়ে যান ৪ জন।
ঘটনার পর নির্যাতিত ব্যক্তিকে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করার পরামর্শ দিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী। কিন্তু, ওই ব্যক্তি পুলিশে অভিযোগ জানাননি। কিন্তু, এই খবর চাউর হয়ে পড়তেই পুলিশের কানে ঘটনাটি পৌঁছে যায়। তড়িঘড়ি পঞ্জাব পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ এই বিষয়ে একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে। পুলিশের রিপোর্ট অনুযায়ী, ঘটনার কোনও অভিযোগ দায়ের না করা হলেও গোয়েন্দা বিভাগ গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখার দায়িত্ব নিয়েছে। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।
আরও পড়ুন-
এক দিনের বাড়বাড়ন্তের পর ফের কমল কলকাতার তাপমাত্রা, পারদ নিম্নমুখী থাকবে বলেই পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের
হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির উপস্থিতিতে শপথ নিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, বিমান বসুকে এগিয়ে নিলেন মমতা
বঁটি, কাটারি নিয়ে পুলিশকর্মীদের ওপর চড়াও শ’য়ে শ’য়ে গ্রামবাসী, অসম-মেঘালয় সীমান্তে ব্যাপক উত্তেজনা