মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমন্ত্রণে কালীঘাটের বৈঠকে যোগ দেবেন কী জুনিয়র ডাক্তাররা- এখনও চলছে আলোচনা। সোমবার বেলা ১১টা ৪৮ মিনিটে নবান্ন থেকে ইমেল পেয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তারপরই তাই নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। জুনিয়র ডাক্তারদের এক প্রতিনিধি অনিকেত মাহাতো জানিয়েছেন বৈঠকের পরই জানান হবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত। প্রশাসনিকভাবে সোমবার আবারও জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি তুলে নিয়ে কাজে ফেরার আবেদন জানিয়ে মেল করেছিল নবান্ন। মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের বৈঠকে ডেকেছের বিকেল পাঁচটায়। মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ সরকারের তরফে চিঠি লিখেছেন।
সূত্রের খবর চিঠিতে লেখা হয়েছে। সরকারের তরফে এটাই 'পঞ্চম ও শেষ চেষ্টা'। একই সঙ্গে এই ইমেলে রাজ্যের তরফে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের কথাও তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে, 'গত ৯ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল ১০ তারিখে বিকেল ৫টার মধ্যে জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফিরে যেতে। নাগরিক হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ পালন করা সকলের কর্তব্য। তাই এটা আপনাদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর তরফে বৈঠক করানোর জন্য আমাদের তরফে পঞ্চম ও শেষতম চেষ্টা। খোলামনে আলোচনার জন্য কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে আপনাদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আমরা বিশ্বাস করি, সুচিন্তার জয় হবেই। আপনাদের আগের দিনের বক্তব্য অনুযায়ী, এই বৈঠকের কোনও ভিডিয়োগ্রাফি বা সরাসরি সম্প্রচার হবে না কারণ, বিষয়টি সর্বোচ্চ আদালতে বিচারাধীন। বৈঠকের পুঙ্খানুপুঙ্খ কার্যবিবরণীতে দু’পক্ষের সই থাকবে।'
নবান্নের এই চিঠির পরই জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছেন তাঁরা আলোচনার পরই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন। ৩০ জনের প্রতিনিধিকেই এবার আমন্ত্রণ জানান হয়েছে। তবে জুনিয়র ডাক্তারদের কথা অনুযায়ী সরকার তাদের ওপর চাপ তৈরি করছে। কেন সরাকর বারবার বলেছে পঞ্চম ও শেষ চেষ্টা। যদিও আগামিকাল সুপ্রম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি। তার আগের দিনই নবান্ন জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠকে ডেকেছে। যা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেও মনে করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।