ঘন্টাখানেক সময় ধরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হল। সেই সঙ্গে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে গেল বেশ কিছু জেলায়।
বৃহস্পতিবার বিকেল তখন চারটের ঘর পেরিয়েছে। আচমকা কালো হয়ে এল আকাশ। মুখ ভার করে শুরু হল ঠান্ডা হাওয়া, ক্রমশ গতি বাড়তে শুরু করল। সারাদিনের তাপমাত্রায় নামল স্বস্তি। বেশ কয়েকটি জেলা পেল বৃষ্টিও। যদিও দক্ষিণ ২৪ পরগণায় সেভাবে কালবৈশাখীর প্রভাব দেখা গেল না। তবে কলকাতা , মুর্শিদাবাদের মত বেশ কয়েকটা জেলা ভিজল আরামের বারিধারায়। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল হাওয়া অফিস। তারা জানিয়েছিল, বৃষ্টি হতে পারে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই। কলকাতা ছাড়াও হাওড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে বৃষ্টি হবে বলে জানানো হয়েছিল। পূর্বাভাস অনুযায়ী ঝেঁপে বৃষ্টি নেমেছে।
ঘন্টাখানেক সময় ধরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হল। সেই সঙ্গে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে গেল বেশ কিছু জেলায়। বিকেল গড়াতে না গড়াতেই দেখা গেল পূর্বাভাস মিলেছে। চার দিক অন্ধকার করে বৃষ্টি নামল কলকাতায়। অন্য জেলাতেও বৃষ্টির খবর মিলেছে। বৃহস্পতিবার বেলার দিকে রাজ্যের একাধিক জেলাতেই নেমেছে স্বস্তির বৃষ্টি। বীরভূমের বোলপুর এবং উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙায় শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া, বিভিন্ন এলাকায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে দেখা গিয়েছে।
বুধবারই আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছিল দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় আবার ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। ভিজতে পারে মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া এবং বীরভূম। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, ঝাড়খন্ড সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। এই ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে সাগর থেকে প্রচুর জলীয় বাষ্প প্রবেশ করছে। এই জলীয় বাষ্প থেকেই বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হয়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি করছে। আর কলকাতা ? আলিপুর জানিয়েছিল কলকাতাতেও বৃষ্টির সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
বুধবার কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে আগামী দু-তিন দিনে তাপমাত্রা ২ থেকে ১ ডিগ্রি বাড়তে পারে। তবে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা আপাতত আর নেই। রাজ্যে এই মুহূর্তে উত্তর পশ্চিম দিকে থেকে হাওয়া বইছে। যার ফলে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কমেছে। মঙ্গলবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম।
হাওয়া অফিস জানিয়ে ছিল, বৃহস্পতিবারের মধ্যে কোনও এক দিন শহরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেই সম্ভাবনা সত্যি করে বৃষ্টি এল কলকাতায়। রবিবার থেকে রাজ্যে আবার ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। ভিজতে পারে কলকাতাও। তবে মাঝের দুদিন অর্থাৎ শুক্রবার এবং শনিবার দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকবে বলে জানানো হয়েছে।