
কসবা ল কলেজে গণধর্ষণকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত এবং ওই কলেজেরই প্রাক্তনী মনোজিৎ মিশ্রর একের পর এক কীর্তি সামনে আসছে। কীভাবে দিনের পর দিন কলেজে রাজত্ব চালাতেন, ক্যাম্পাসের ভিতর ছাত্রীদের হেনস্থা করতেন, বেরিয়ে আসছে সেই সকল তথ্য।
এবার আরও এক ছাত্রী ধৃতের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ আনল। সে জানিয়েছে, একটা মেয়ের শরীরে যতটুকু মর্যাদা থাকে, তার কিছুই হয়তো ছিব না। অর্ধেক জানা ছেঁড়া ছিল, বেশিরভাগ টেনে খুলে নেওয়া হয়েছিল। সেই তরুণী জানায়, ২০২৩ সালে একটি কলেজ পিকনিকে তাঁকে যৌন নির্যাতন করেছিলেন মনোজিৎ।
ছাত্রী বলেন, মনোজিতের কথাতেই মদের ব্যবস্থা করা ছিল। একটি ঘরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে পিছন থেকে শুনতে পাই কেউ একজন ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়। হালকা আলোয় বুঝতে পারি সে মনোজিৎ।
গা শিউরে ওঠে। সেই মুহূর্তের কথা মনে করে কারে ছাত্রী বলেন, শার্টের বোতাম খুলতে খুলতে আমার দিকে এগিয়ে আসে। দেখে বোঝাই যাচ্ছিল সে সম্পূর্ণ নেশাগ্রস্থ অবস্থায় আছে। তখন তাঁকে বলি যে দাদা দরজা বন্ধ কোরো না, আমি বাইরে বেরোব। কিন্তু, সে আমার কথা অগ্রাহ্য করেই আমাকে ঠেলে ফেলে দেয়, গলার মধ্যে কামড়াতে শুরু করে, আমার শরীর নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য করতে থাকে। এমনকী, বুকের ভিতর হাত ঢুকিয়ে অন্তর্বাস ছিঁড়ে দেয়।
মনোজিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলে, আমার বাবার নাম বলা হয়। আমার বোন কোন স্কুলে পড়ে টাও বলে। হুমকি দেওয়া হয় দু দিমিনট লাগবে না বাবা-মায়ের ঠিকানা খুঁজতে। তারপর আমাকে বলা হয়, এগুলো যদি না চাস যেভাবে আমি ছুঁচ্ছি আমাকে ছুঁতে দে।
ঠিক এই সময় দরজা দিয়ে কেউ এসে মনোজিৎ-কে ডাক দেয়। সে রেহাই পেয়েছিল। তরুণী বলেন, আমার ৩০-৩৫ সেকেন্ডের মতো জ্ঞান ছিল না, যদি তাঁর বেশি সময় অজ্ঞান থাকতাম, তাহলে আজ নির্যাতনের স্বীকার আমিই হতাম।
অভিযোগ, গত ২৫ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে ১০টা ৫০ মিনিট, প্রায় ৩ ঘন্টা ২০ মিনিট ধরে কলেজের গার্ডস রুমে অকথ্য নির্যাতন চলে আইনের ছাত্রীদের ওপর। নির্যাতিতা শাসকদলের ছাত্র সংগঠনে কর্মী। পুলিশকে দেওয়া অভিযোগপত্রে তিনি লিখেছেন, কলেজের প্রাক্তনী তথা প্রভাবশালী নেতার প্রেম তথা বিয়ের প্রস্তাব নাকচ করে দেওয়ার অপরাধে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে। অভিযুক্তকে সহায়তা করেছেন আরও দুজন।