Kasba Incident: কসবার কলেজে ধর্ষণ কাণ্ডে নয়া মোড়, অভিযুক্তের বাড়িতে মিলল গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ

Published : Jun 30, 2025, 12:53 PM ISTUpdated : Jun 30, 2025, 05:21 PM IST
Rape

সংক্ষিপ্ত

Kasba Incident: কসবার কলেজে ধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্তের বাড়িতে সিসি ক্যামেরায় দেখা পোশাক উদ্ধার। পুলিশ তিন অভিযুক্তের বাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে এবং ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে।

ফের প্রকাশ্যে এল এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, সিসি ক্যামেরায় যেমনটা দেখা গিয়েছিল, সেই পোশাকই খুঁজে পাওয়া গিয়েছে কসবার কলেজে ধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্তের বাড়িতে। তাঁকে এম হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

রবিবার তিন অভিযুক্তের বাড়িতেই গিয়েছিল পুলিশ। সেখান থেকে নানা নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, এম-র বাড়িতে সেই পোশাকগুলোই দেখা গিয়েছে। যেগুলো তিনি ঘটনার সময় পরেছিলেন। সেই পোশাক ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে।

কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার (দক্ষিণ শহরতলি) প্রদীপকুমার ঘোষাল সিটের নেতৃত্বে রয়েছেন। প্রথমে তাঁর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের সিট গঠন করা হয়েছিল। রবিবার সেই সদস্যসংখ্যা বাড়িয়ে ৯ করা হয়।

এই দলের এক অফিসারের কথায়, আগে সিসিটিভি ফুটেজে যে পোশাক দেখা গিয়েছিল, বাড়ি থেকে সংগ্রহ করা পোশাকের সঙ্গে তা মিলে গিয়েছে। এগুলো ফরেন্সিক প্রমাণ হিসেবে এই তদন্তে কাজে লাগাতে পারে। এদিকে বাকি দুই অভিযুক্তের বাড়ি থেকেও পোশাক এবং অন্যান্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তাঁরা মোবাইল ছাড়া অন্য কোনও বৈদ্যুতিন গ্যাজেট ব্যবহা করেন কি না, তার খোঁজও করা হয়েছে।

সূত্রের খবর, তরুণী জানিয়েছেন, রক্ষীর ঘরে যখন তাঁকে ধর্ষণ করা হচ্ছিল, তাঁর মাথায় আঘাত লেগেছিল। তার পরেও থামেনি অভিযুক্ত। তরুণীর মৃতপ্রায় অবস্থায় পড়েছিল। একটা সময় পর আর তিনি বাধা দেননি, যাতে দ্রুত কলেজ থেকে বেরোতে পারেন। হকি স্টিক দিয়ে তাঁকে মারা চেষ্টা করা হয়েছিল বলেও সে জানায়। জানা গিয়েছে, রক্ষীর ঘরে ধস্তাধস্তির প্রমাণ মিলেছে। পাওয়া গিয়েছে ছেঁড়া চুল। তবে, এখনও স্পষ্ট নয় চুল কার। ফরেন্সিক নমুনা হিসেবে তা সংগ্রহ করা হয়েছে।

অভিযোগ, গত ২৫ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে ১০টা ৫০ মিনিট, প্রায় ৩ ঘন্টা ২০ মিনিট ধরে কলেজের রক্ষীর রুমে অকথ্য নির্যাতন চলে আইনের ছাত্রীদের ওপর। নির্যাতিতা শাসকদলের ছাত্র সংগঠনে কর্মী। পুলিশকে দেওয়া অভিযোগপত্রে তিনি লিখেছেন, কলেজের প্রাক্তনী তথা প্রভাবশালী নেতার প্রেম তথা বিয়ের প্রস্তাব নাকচ করে দেওয়ার অপরাধে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে। অভিযুক্তকে সহায়তা করেছেন আরও দুজন।

এদিকে কসবা আইন কলেজে গণধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র সম্পর্কে উঠে এসেছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। মনোজিৎ-র বিরুদ্ধে দুইটি অস্ত্র আইন সংক্রান্ত মামলা আছে। আইন পড়াও সে কারণে চার বছরের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৪ সালে আইন কলেজে ভর্তি হলেও মামলার চাপ এড়াতে গা ঢাকা দেয়। ২০১৮ সালে ফের কলেজে ভর্তি হয় এবং নতুন ছাত্রীদের টার্গেট করতে শুরু করে।

 

 

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

প্রতিদিন বাদ যাচ্ছে ১ লক্ষেরও বেশি ভোটারের নাম! SIR-এ কত ভোটার বাদ যাবে জানেন?
স্বামী প্রান্তিককে সঙ্গে নিয়ে 'ফুল' বদল রাজন্যার! ভোটের আগে কোথায় যাচ্ছেন তৃণমূলের বহিস্কৃত নেত্রী?