
Kolkata News: তবে কি এবার শিক্ষকদের লাথি মারার মাশুলই কী গুনতে হল এস আই রিটন দাসকে? বুধবার কসবায় চাকরিহারা শিক্ষকদের ডিআই অফিস অভিযানে তৈরি হয়েছিল উত্তেজনা। দেখা গিয়েছিল, উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে লাঠি চার্জ করে পুলিশ। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ভাইরাল হয় সেই ছবি। একাংশের অভিযোগ, এই চাকরিহারাদের নাকি লাথি মারছিলেন কসবা থানার এস আই রিটন দাস।
জানা গিয়েছে, বিতর্কের মুখে পড়ে এবার সেই এস আই-এর হাত থেকে মামলা তুলে নিল লালবাজার। পুলিশ সূত্রে খবর, চাকরিহারাদের বিরুদ্ধে তদন্তের মামলা ছিল তাঁরই হাতে। সেদিন স্কুল পরিদর্শকের অফিস অভিযানকে কেন্দ্র করে যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল, তার ভিত্তিতেই আন্দোলনরত চাকরিহারাদের বিরুদ্ধে ৮টি ধারায় মোট দু’টি অভিযোগ দায়ের করা হয়। যার মধ্যে তিনটি ধারা জামিন অযোগ্য। একটি মামলা স্বতপ্রণোদিত ভাবে দায়ের করে পুলিশ। অন্যটি দায়ের করেন খোদ স্কুল পরিদর্শক।
পুলিশ সূত্রে খবর, ডিআইয়ের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্তভার গিয়েছিল এস আই রিটন দাসের ওপর। কিন্তু পরবর্তীতে বিতর্কের জেরে তদন্ত থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। পরিবর্তে তদন্তভার যায় অন্য আর এক এস আই সঞ্জয় সিংয়ের ওপর ।
প্রসঙ্গত, এই ‘লাথি মারা’ নিয়ে খোদ পুলিশ সিপি মনোজ ভর্মাকেও আপত্তি জানাতে দেখা গিয়েছে। তিনি জানিয়েছিলেন চাকরিহারারা প্রথমে চড়াও হওয়ায় সেই সময় প্রতিরক্ষা ও উত্তেজনা সামাল দিতে পুলিশকে ‘হালকা বলপ্রয়োগ’ করতে হয়। পাশাপাশি, তবে যা হয়েছে, তা ঠিক হয়নি, বলেও দাবি করেন তিনি। নগরপালের সংযোজন, ‘কার নির্দেশে, কোন অফিসার, কেন লাথি মারলেন, সেই নিয়ে তদন্তে নামবে পুলিশ। এছাড়াও সমস্ত ফুটেজ খতিয়ে দেখা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।’
অন্যদিকে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চকরিহারিয়ে বিপাকে প্রায় ২৬ হাজার। এসএসসি অফিসের বাইরে শিক্ষকরা শুক্রবার 'ধর্না' বিক্ষোভে বসেন। শিক্ষাকর্মী ও শিক্ষকরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন। এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারির জেরে প্রায় ২৬০০০ শিক্ষক তাদের চাকরি হারিয়েছেন। এই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াটি ত্রুটিপূর্ণ ছিল। এর আগে বৃহস্পতিবার, ডেমোক্রেটিক ইয়ুথ ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার (ডিওয়াইএফআই) কর্মীরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ২৬,০০০ শিক্ষকের চাকরি হারানোর প্রতিবাদ জানায়। এই চাকরি হারানোর কারণ এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।