আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অসংবেদনশীল আচরণের অভিযোগ উঠেছে। মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সরব ডাক্তারি পড়ুয়ারা।
চাপের মুখে সোমবার সকালে পদত্যাগের কথা ঘোষণা করলেন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন, 'একজন বাবা হিসেবে আমি লজ্জিত। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রমাগত আমার মানহানি করা হয়েছে। এই কারণে আমি পদত্যাগ করলাম। ভবিষ্যতে অন্য কারও সঙ্গে এই ঘটনা ঘটা উচিত নয়।' আর জি করের জুনিয়র ডাক্তার, ইন্টার্ন, ডাক্তারি পড়ুয়ারা গত কয়েকদিন ধরেই অধ্যক্ষর পদত্যাগের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। তাঁদের সেই দাবি পূরণ হল। যদিও পদত্যাগী অধ্যক্ষর দাবি, কারও চাপের মুখে নয়, তিনি নিজের ইচ্ছাতেই পদত্যাগ করেছেন। স্বাস্থ্য ভবনে গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন আর জি করের অধ্যক্ষ। তবে তাঁর পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়েছে কি না এখনও জানা যায়নি।
অধ্যক্ষর পদত্যাগের ঘোষণায় আশ্বস্ত হচ্ছেন না আন্দোলনকারীরা
আর জি করে টানা চতুর্থ দিন কর্মবিরতি চলছে। সোমবার অধ্যক্ষ পদত্যাগের কথা বললেও, তাঁর মুখের কথায় বিশ্বাস করছেন না আন্দোলনকারীরা। তাঁদের দাবি, লিখিতভাবে পদত্যাগ করতে হবে অধ্যক্ষককে। তাঁর ক্ষমা চাওয়ার দাবিও জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের আরও দাবি, এই ঘটনার বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত অধ্যক্ষককে কোনও প্রশাসনিক পদে রাখা চলবে না।
নিরাপত্তার দাবিতে সরব চিকিৎসক-পড়ুয়ারা
আর জি কর হাসপাতাল-সহ রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরাই কর্মরত অবস্থায় নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবিতে সরব হয়েছেন। বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসকরা। এর ফলে জরুরি পরিষেবায় প্রভাব পড়েছে। চিকিৎসকদের আন্দোলনের ফলে রোগীদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তবে নিজেদের দাবিতে অনড় জুনিয়র ডাক্তাররা। কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, সে বিষয়ে এখনই কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন থামাতে নারাজ চিকিৎসক-পড়ুয়ারা।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
হাসপাতাল না নেশার ঠেক! রীতিমতো ভয় ধরাচ্ছে আর জি কর হাসপাতালের রাতের দৃশ্য
'আমরা সন্দেহ করছি এটা ইন্টার্নের কাজ,' আর জি করের ঘটনায় ভাইরাল ডাক্তারি পড়ুয়াদের কথোপকথন