সংক্ষিপ্ত

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের মর্মান্তিক পরিণতি সারা রাজ্যে সরকারি হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। চিকিৎসক, চিকিৎসাকর্মীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে মহিলা চিকিৎসকের উপর নৃশংস অত্যাচার চালিয়ে খুন করার আগে ও পরে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায় মদ্যপান করে বলে দাবি তদন্তকারীদের। কিন্তু শুধু এই খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় ধৃত ব্যক্তিই নয়, আরও অনেকেই আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের মধ্যেই মদ্যপান করে। মদের পাশাপাশি আরও অনেক নেশার দ্রব্যেরই আনাগোনা হয় এই সরকারি হাসপাতালে। সন্ধের পর নিরাপত্তা বলে কার্যত কিছুই থাকে না। বহিরাগতরা অবাধে হাসপাতালে ঢুকে পড়ে মদের আসর বসায়। মদের পাশাপাশি আরও অনেক নেশাই যে চলে, তার প্রমাণ ছড়িয়ে আছে সর্বত্র। হাসপাতালের মধ্যে পড়ে আছে মদের বোতল, অন্যান্য নেশার বস্তু। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়ারাও আতঙ্কে। অনেকেই জানিয়েছেন, রাতে হাসপাতাল কার্যত বহিরাগতদের দখলে চলে যায়। ফলে নিরাপত্তা শিকেয় ওঠে।

অসামাজিক কাজের মুক্তাঞ্চল আর জি কর হাসপাতাল!

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়াদের দাবি, হাসপাতালের যে অংশে রোগীর পরিজনদের ভিড় থাকে না, সেখানে রোজই সন্ধের পর বহিরাগতরা নেশার আসর জমায়। নানা ধরনের অসামাজিক কাজকর্ম চলে। ফলে নিরাপত্তারক্ষীদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। হাসপাতালের সর্বত্র সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারি আছে কি না এবং থাকলে তারপরেও কীভাবে সরকারি হাসপাতালে অসামাজিক কাজকর্ম চলছে, সেই প্রশ্ন উঠছে।

বহিরাগতরা অবাধে সরকারি হাসপাতালে ঢুকে যেতে পারে!

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা রাধাগোবিন্দ করের পরিবারও এই সরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এই পরিবারের সদস্য পার্থ কর বলেছেন, 'সরকারি হাসপাতালে যখন খুশি যে কেউ ঢুকে পড়ছে, এটা মেনে নেওয়া যায় না। পুলিশ-প্রশাসনের কাছে আমার অনুরোধ, কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক।'

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

আরও পড়ুন-

'মর্মান্তিক ঘটনা, পুনরাবৃত্তি যেন না হয়,' বার্তা আর জি করের পরিবারের

'আমরা সন্দেহ করছি এটা ইন্টার্নের কাজ,' আর জি করের ঘটনায় ভাইরাল ডাক্তারি পড়ুয়াদের কথোপকথন

YouTube video player