
কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে। আগামী ৯-১১ জানুয়ারি জি-২০ ইন্ডিয়া প্রেসিডেন্সির প্রথম বৈঠক G-20 গ্লোবার পার্টনারশিপ ফর ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুয়েন্স বা GPFIএর সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা হবে ইকো পার্কের বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে। সেই উপলক্ষ্যে ইতিমধ্যেই সেজে উঠেছে কলকাতা। কারণ তিলোত্তমায় কলকাতায় আর কয়েক দিনের মধ্যেই উপস্থিত হবেন দেশ বিদেশের অতিথিরা। দুই দিনের এই বৈঠকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে।
ইকো পার্কের বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টার-সহ গোটা কলকাতাই সুন্দর করে সাজানো হয়েছে কলকাতা বিমান বন্দর থেকে শহরে ঢোকার পথ, ইএম বাইপাস, নিউ টাউনের বিভিন্ন রাস্তা মেরামতি করা হয়েছে। রাস্তাগুলি আগের তুলনায় অনেকটাই মসৃণ করা হয়েছে। ফুটপাথে বসেছে নতুন পেভার ব্লক, রোড ডিভাইডার ও উড়ালপুলের নিচে বসেছে বাহারি ফুলের গাছ। রাস্তার দুইধারেই গাছ লাগানোর পাশাপাশি আগে যে গাছ ছিল সেগুলি পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে।
শহরের একাধিক স্থানে লাগান হয়েছে জি-২০ পোস্টার ব্যানার। শহরবাসীর একাংশের কথায় রাস্তাঘাট এতটাই সাজিয়ে রাখা হয়েছে যা রীতিমত দৃষ্টিনন্দন যোগ্য। জি-২০ বৈঠকে যোগদিতে আসা অতিথিদের নজর কাড়বে বলেও আশা করছে প্রশাসন।
নিউ টাউনের বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে দুই দিনের সভা হবে। ভারত-সহ মোট ১৯টি দেশের প্রতিনিধিরা এই বৈঠকে যোগ দেবেন। এছাড়াও কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মকর্তারাও উপস্থিত থাকবেন। প্রশাসন সূত্রের খবর প্রথম দিনে প্রতিনিধি হিসেবে থাকবে ৬-৭০ জন। তবে ওই অনুষ্ঠানে বাংলার কোনও প্রতিনিধি থাকবে না। কিন্তু অনুষ্ঠান কক্ষের বাইরে পশ্চিমবঙ্গ সরকার একটি প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করেছে। যার দায়িত্বে রয়েছে ক্রেতা সুরক্ষা দফতর।
৯ জানুয়ারি রাজ্য সরকার অতিথিদের জন্য নৈশভোজের আয়োজন করেছে। গঙ্গাবক্ষের একটি ক্রুজে হবে নৈশভোজের আসর। বিদেশী অতিথিদের কলকাতার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে নিয়ে যাওয়া হবে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে।
পরের দিন ১০ জানুয়ারি নৈশভোজ হবে নিউটাউনে। ১১ জানুয়ারি কলকাতার স্ট্রিটফুডের সঙ্গে বিদেশী অতিথিদের পরিচয় করিয়ে দেবে রাজ্যের প্রতিনিধিরা। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ানের পাশে ফাঁকা জায়গায় ফুড প্যাভেলিয়নের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শহরের হকাররা সেখানে তাদের নানা ধরনের খাবারে পসরা সাজিয়ে বসতে পারবেন। এখানে বিদেশী প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে নবান্ন সূত্রের খবর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে কাছে এখনও কোনও আমন্ত্রণপত্র আসেনি।
দ্বিতীয় দফায় জি-২০ বৈঠক ফের হবে ফেব্রুয়ারিতে। ৮ ও ৯ ফেব্রুয়ারির বৈঠকে বিজ্ঞাণ গবেষণা নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে আলোচনা হবে। সদস্যদেশগুলি আলোচনা সভায় অংশ নেবে। তৃতীয় দফার বৈঠক হবে এপ্রিলে। ৩-৫ এপ্রিল দার্জিলিং-এর মেফেয়ার হোটেলে হবে পর্যটন সম্মেলন।
আরও পড়ুনঃ
সন্ত্রাসবাদের 'আঁতুর ঘর' পাকিস্তানেই জঙ্গি বিরোধী মিছিল, স্থানীয়দের শান্তির দাবি
পঞ্চায়েত ভোটের আগে বোমাবাজিতে উত্তপ্ত নরেন্দ্রপুর, এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার তিন
দিদির সুরক্ষা কবচ নিয়ে তৃণমূল-বিজেপির তরজা, এক সুরে মমতাকে আক্রমণ দিলীপ-শুভেন্দুর