
ফের বিভ্রাট মেট্রোয়। ব্যস্ত সময় ব্লু লাইন অর্থাৎ দক্ষিণেশ্বর থেকে শহিদ ক্ষুদিরাম-র দিকে মেট্রো এগোল ধিকিয়ে ধিকিয়ে। যার জেরে সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনই ভোগান্তির শিকার হলেন যাত্রীরা।
জানা গিয়েছে, সম্ভবত সিগন্যালের গোলযোগের জেরেই এক বিপত্তি হয়। মূলত দক্ষিণেশ্বর থেকে শহিদ ক্ষুদিরামগামী ডাউন লাইনেই এমন হয়েছে। যাত্রীদের কথায়, দক্ষিণেশ্বর থেকে নোয়াপাড়া ঢুকতে সময় লেগেছে ৩৮ মিনিট, যেখানে স্বাভাবিক সময় খুব বেশি হলে সাত থেকে আট মিনিট লাগে। নোয়াপাড়া থেকে মেট্রো ধীর গতিতে চলেছে। ম্যানুয়ালি গাড়ি ছাড়ার সিগন্যাল দেওয়া হয়েছিল।
জানা যায়, দক্ষিণেশ্বর ও বরাহনগরের মাঝে ৮টা ৪২ মিনিট থেকে ৮টা ৫৭ মিনিট পর্যন্ত দাঁড়িয়েছিল ট্রেন। তারপর কোনও মতে গাড়ি বরাহনগরে ঢোকে। সেখানে ঢুকে ফের দাঁড়িয়ে যায় মেট্রো। ঘোষণা হয়, নোয়াপাড়া থেকে সিগন্যাল না পাওয়ায় গাড়ি ছাড়তে দেরি হবে।
দক্ষিণেশ্বরগামী একটি ট্রেন দমদমে ঢোকার পর যাত্রীদের নামিয়ে ট্রেনটি খালি করে দেওয়া গয়। তারপর ওই গাড়িটিই ফের রওনা দেয় শহীদ ক্ষুদিরামের পথে। অবশ্য আপ লাইনে অর্থাৎ শহিদ ক্ষুদিরাম থেকে দমদমের পথে পরিষেবা প্রায় স্বাভাবিক ছিল।
দক্ষিণেশ্বর হল ব্লু লাইনের শেষ স্টেশন। স্কুল-কলেজ কিংবা কাজের যাওয়ার জন্য সড়ক বা ট্রেনপথে এসে অনেকেই দক্ষিণেশ্বর থেকে মেট্রোতে ওঠেন। এবার সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন সকাল সকাল ঝামেলায় পড়লেন যাত্রীর। দক্ষিণেশ্বর থেকে শহিদ ক্ষুদিরাম-র দিকে মেট্রো চলল ধীর গতিতে। সিগন্যাল না পাওয়ার কারণে দেখা দিল এই সমস্যা। মেট্রো ধীরে চলায় ভিড় উপচে পড়েছিল স্টেশনে স্টেশনে। ভিড় মেট্রোতে অনেকেই উঠতে পারেননি। একদিকে দেরিতে মেট্রো অন্যদিকে ভিড়। সকালে স্কুল, কলেজ কিংবা অফিস যেতে সকলেরই গন্তব্যে পৌঁছাতে দেরি হয়। যে কারণে অসন্তোষ দেখা দেয় যাত্রীদের মধ্যে।