ধর্মতলায় চপ ভাজলেন গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীরা,হকের চাকরির দাবিতে এবার প্রতিকী আন্দোলন কর্মপ্রার্থীদের

নিয়োগ আন্দোলনে এবার সরকারকে বার্তা দিতে হাতিয়ার চপ। বুধবার ধর্মতলায় চপ ভেজে বিক্ষোভ দেখালেন ২০১৭ সালে গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীরা। ৯১ দিন ধরে ধর্মতলায় মাতঙ্গিনী হজরার মূর্তির পাদদেশে আন্দোলনরত তাঁরা। তিনমাস কেটে গেলেও মেলেনি নিয়োগ।

Ishanee Dhar | Published : Nov 16, 2022 3:04 PM IST

হকের চাকরির দাবিতে ধর্মতলায় মাতঙ্গিনী হজরার মূর্তির পাদদেশে আন্দোলন করছেন ২০১৭ সালে রাজ্য সরকারের গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীরা। এবার মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকে হাতিয়ার করেই সরকারকে বার্তা দিলেন তাঁরা। বুধবার সকালে একদিকে উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভে উত্তাল শহর। অন্যদিকে ধর্মতলায় চপ ভেজে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীরা। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে একাধিকবার কর্মসংস্থান হিসেবে উঠে এসেছে ‘চপশিল্পে’র কথা, কখনও আবার চা-ঝাল মুড়ির স্টল, এমনকী কাশ ফুলের বালিশ বানানোর কথাও শোনা গিয়েছে। এবার মুখ্যমন্ত্রীর সেই বক্তব্যকে হাতিয়ার করেই ধর্মতলায় চপ ভেজে প্রতিকী আন্দোলন করলেন চাকরিপ্রার্থীরা।

নিয়োগ আন্দোলনে এবার সরকারকে বার্তা দিতে হাতিয়ার চপ। বুধবার ধর্মতলায় চপ ভেজে বিক্ষোভ দেখালেন ২০১৭ সালে গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীরা। ৯১ দিন ধরে ধর্মতলায় মাতঙ্গিনী হজরার মূর্তির পাদদেশে আন্দোলনরত তাঁরা। তিনমাস কেটে গেলেও মেলেনি নিয়োগ। তাই এবার অন্য পন্থায় প্রতিকী আন্দোলন করলেন তাঁরা। এক চাকরিপ্রার্থী জানিয়েছেন,'এই আন্দোলনের মাধ্যমে নবান্নকে বার্তা দিতে চাই। আমরা শিক্ষিত হয়ে চপ ভাজতে চাই না। হকের চাকরি ফেরত চাই।' অপর এক চাকরিপ্রার্থী জানিয়েছেন,'মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন জনসভায় আয়ের উৎস বাতলে দিয়েছেন, চপ ভাজা। এটা আমাদের প্রতিকী প্রতিবাদ। নিজেদের স্বপ্নপূরণ করতেই চাকরির পরীক্ষা দিয়েছিলাম। আমরা সবাই স্নাতক স্নাতকোত্তর। তার পরেও চপ শিল্পের কথায় বিবেক দংশনে ভুগছি। ভাবতে পারছি না যে, এমন মানদণ্ডে বেঁধে রাখা হবে।'

অন্যদিকে উচ্চপ্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠল শহর। বুধবার ফের একবার রণক্ষেত্র হয় উঠল তিলত্তমার রাস্তা। এবার আন্দোলন মুখ্যমন্ত্রীর পাড়া হরিশ চ্যাটার্জী স্ট্রিটে। নিয়োগের দাবিতে বুধবার বেলা ২.১৫ নাগাদ কালীঘাট ও যতীন দাস পার্ক মেট্রো স্টেশনের সামনে ভিড় জমাতে থাকে ২০১৪ সালের উচ্চপ্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা। মেট্রো স্টেশনের সামনের রাস্তায় কার্যত শুয়ে পড়েন তাঁরা। পুলিশ বাধা দেওয়ায় বাঁধে ধস্তাধস্তি। আন্দোলনকারীদের টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিশ। এমনকী বেসরকারি বাস, ট্যাক্সিতেও আন্দোলনকারীদের তুলতে দেখা যায়। ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। এক মহিলা চাকরিপ্রার্থীর অভিযোগ পুলিশ তাঁর পোশাক ছিড়ে দিয়েছে। পুলিশের ধড়পাকড়ের সামনে বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ হলেও মাথা নত করেনি বিক্ষোভকারীরা। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির মধ্যেও স্লোগান উঠেছে 'নিয়োগ চাই'।

অন্যদিকে এই আন্দোলনের বিষয় পুলিশের কাছে কোনও খবর ছিল না। তবে কঠোর নিরাপত্তার কবচ ভেদ করে কীভাবে বিক্ষোভকারী হরিশ চ্যাটার্জী স্ট্রিটে পৌঁছল তা ঘিরে ফের একবার প্রশ্নের মুখে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির নিরাপত্তা। গোটা ঘটনার বিষয় ইতিমধ্যেই প্রশ্ন করা হয়েছে।

 

আরও পড়ুন - 

ফের রণক্ষেত্র কলকাতার রাজপথ, উচ্চপ্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভে উত্তাল কালীঘাট

অনুব্রত-সুকন্যার সঙ্গে প্রায় সাড়ে ১৬ কোটি টাকার যোগ! গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের সাঁড়াশি চাপ

দলিল নিয়ে দিলীপকে নিশানা , আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে অভিষেকের প্রশ্ন কেন তল্লাশি হল না বিজেপি নেতার বাড়ি

Share this article
click me!